বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: সুরমার পানি বাড়ছে। সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের নদী তীরবর্তী নবীনগর, ষোলঘর, কাজিরয়েন্টে, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, পশ্চিমবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অনেক সড়কেযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের মেঘালয়- চেরাপুঞ্জিতে গত ৭২ ঘণ্টায় ৯০২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। একারণে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, পাহাড়ি ঢল নামছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে এবং বন্যা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
শনিবার (২৭জুন) বিকেলে ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫৫ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি ১৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেডে লোডিং-আনলোডিং বন্ধ রয়েছে।
যেকোন সময় উপজেলা সদরের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওযার আশংকা রয়েছে। ছাতক শহরের প্রধান সড়ক ছাড়া প্রায় সবকটি সড়কে পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের অলি-গলি, বাসা-বাড়ি ও আঙ্গিনায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শহরবাসী। বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছেন সাধারণ মানুষ।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃগোলাম কবির জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বর, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এখানে প্রবল বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকা এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।