- প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধন করবেন
- ১৩ চিকিৎসকসহ ১৫৯জন প্রস্তুত চিকিৎসা সেবার জন্য
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড চালু হচ্ছে কাল বুধবার। এরজন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১৩ জন চিকিৎসকসহ মোট ১৫৯ জনকে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি সকাল ১১ টায় বন্দর হাসপাতালের ৬০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। একইসঙ্গে হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনও উদ্বোধন হবে বলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই মুহূর্তে বন্দরের ১৭০ জন কর্মি করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া, আরও সাড়ে ৪ শ’ জন রয়েছেন আইসোলেশনে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এ প্রসঙ্গে জানালেন, নব নির্মিত ভবনে করোনা ওয়ার্ড চালুর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ জন মেডিক্যাল অফিসার, ৩৬ জন নার্স, ৬ জন মেডিক্যাল এসিসট্যান্ট এবং মেডিক্যাল টেকনোলোজিস্ট, ওয়ার্ড বয়, আয়া ও অন্যান্য কর্মিসহ সর্বমোট ১৫৯ জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ এবং ওরিয়েন্টেশনও সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পিপিইসহ যাবতীয় সুরক্ষা সামগ্রী রয়েছে তাদের জন্য।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের অনুরূপ করোনা চিকিৎসা সুবিধা বন্দর হাসপাতাল থেকে দেয়া হবে। ওয়ার্ডে ৪০ শয্যার আইসোলেশন জোন এবং ২০ শয্যার চিকিৎসা ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। হাই ফ্লো অক্সিজেনের জন্য সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫০ রোগীকে এই সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে। অক্সিজেন সেবা দিতে ৬টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতঃমধ্যে ২টি এসে গেছে আরও ৪টি পথে রয়েছে।
জাফর আলম উল্লেখ করেন, বন্দর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড চালু হলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের চাপ কমবে চট্টগ্রামের দু’টি সরকারি হাসপাতালের ওপর থেকে। বন্দরের প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি, তাদের পোষ্য ও নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার এবং অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ সবমিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা পাবেন।
তবে, আপাতত নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) সেবার ব্যবস্থা নেই। এই সুবিধার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আগ্রাবাদে অবস্থিত মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের সাথে সমঝোতায় যাবে বলে জানালেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. জাফর আলম।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বন্দর হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে প্রধান বিপত্তি হয়ে আছে জনবল সংকট। ৫৯ টি নতুন পদ সৃষ্টির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছিল। এর বিপরীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে মাত্র ২৫টির। তবে, এখনও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভেটিং, অর্থাৎ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। তা না হওয়ায় নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বন্দরে সবার বেতন-ভাতা নিজস্ব তহবিল থেকে নির্বাহ করা হয়, সরকারি তহবিল থেকে নয়। এ প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভেটিং অবিলম্বে হয়ে গেলে বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করে আইসিইউ সুবিধা চালু করতে পারতো।