Home First Lead হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে শাহেদকে

হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে শাহেদকে

অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাহেদ
  • গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ
  • চুলের রঙ চেঞ্জ করেছেন, গোঁফ কেটে ফেলেছেন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার জালিয়াত সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টার  তেজগাঁও পুরাতন বিমাবন্দরে এসেছে পৌঁছেছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় হেলিকপ্টারটি ঢাকায় পৌঁছে।

সকাল ৮টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে সাহেদকে নিয়ে ঢাকার পথে রওয়ানা দেয় র‌্যাবের বিশেষ দলটি।
এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

ঢাকা থেকে র‌্যাবের একটি দল জালিয়াত সাহেদকে গিয়েছিলেন সাতক্ষীরায়।

জানা গেছে, সাহেদ সাতক্ষীরার দেবহাটার শাকরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন । এ সময় বোরকা পরা অবস্থায় ছিল বলে জানা গেছে। তার শরীরে কাদা মাটি মাখা ছিল। তাকে একটি নৌকায় লুকোনো অবস্থা থেকে গ্রেপ্তার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

সাতক্ষিরা ষ্টেডিয়ামে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে একটি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলী ছিল। তাকে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছিল একজন দালাল। সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে বুধবার ভোর ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টায়  সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে  গ্রেপ্তার হয়েছে সাহেদ।

দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময়ে তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হযেছে অবৈধ অস্ত্র।  র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যমকে।

র‌্যাব এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে সাহেদ ছদ্মবেশ ধারণ করে। বোরকা পরে একটি নৌকায় উঠার চেষ্টা করছিলেন সাহেদ। তখনই তাকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, ‘নৌকায় ওঠার আগেই আমরা ধরে ফেলেছি, মূলত পাড়ে। আমরা তাকে অনুসরণ করছি বিভিন্ন জায়গায়। সে ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি তার চুলের রঙ চেঞ্জ করেছেন, গোঁফ কেটে ফেলেছেন। তার চুল সাধারণত সাদা থাকে, সেটা কালো করে ফেলেছেন। তার প্ল্যান ছিল মাথা ন্যাড়া করার। তিনি ইন্ডিয়াতে গেলে হয়তো করতেন।

এই কর্মকর্তা জানান, নৌকার যে মাঝি সাহেদকে নদী পার হতে সহযোগিতা করছিল, সে পালিয়ে গেছে

তিনি বলেন, ‘ওই মাঝি আসলে খুব ভালো সাঁতার জানেন। উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি সাঁতরিয়ে চলে গেছেন। তিনি (সাহেদ) মোটা মানুষ সেজন্য হয়তো সে পালাতে পারেননি। সেজন্যই তিনি (সাহেদ) ধরা পড়েছেন।

গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া করোনা টেস্টের অভিযোগে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করার পর থেকে সাহেদ করিম পলাতক ছিলেন।

র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট প্রদান ও হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর শাখা দুইটি সিলগালা করে দেয়। সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।