- ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য মুখিয়ে আছেন গণমাধ্যম কর্মিরা
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
আগরতলা: হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের নৌ পথে আজ শনিবার ১৮ জুলাই পণ্যবাহী জাহাজ পৌঁছার কথা ছিল সোনামুড়ায়। এমনটাই জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
স্বপ্নের জাহাজ ভিড়বে সোনামুড়া জেটিতে। সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুরে গোমতিতে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী জেটি। তা নিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয় জনসাধারণের মাঝে। তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুণেন আজ শনিবার সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে। সোনামুড়া জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজ আসার কোন কর্মসূচি ছিল না। প্র্রকৃতপক্ষে বিষয়টি হলো ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির আওতায় ট্রানজিট পণ্যের ট্রায়াল রান শুরু। বাংলাদেশ পতাকাবাহি কোস্টাল জাহাজ এমভি সেঁজুতিতে ৪ কন্টেইনার পণ্য তুলে দেয়া হয়েছে। জাহাজটি কলকাতা এবং হলদিয়া থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি পণ্য নিয়ে ভিড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে। আর সেখানে ট্রানজিট পণ্যভর্তি কন্টেইনারগুলো খালাসের পর পোর্ট ও কাস্টমস-এর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সরাসরি চলে আসবে আগরতলা সীমান্তে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে মুখিয়ে আছেন গণমাধ্যম কর্মিরা।
দু’কন্টেইনারে রয়েছে টাটা স্টিলের উৎপাদিত টিএমটি স্টিল বার। আসবে পশ্চিম ত্রিপুরায়। অপর দু’টিতে ইটিসি অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ের মসুর। যাবে অসমের করিমগঞ্জে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী (শিপিং)মানসুখ মান্দাভিয়াকে করোনা প্রকোপের মাঝেও এই পদক্ষেপের জন্য ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিরাট সাফল্য হাতে এসেছে৷
ভারতের ভূ-বেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১৯৯৫ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্স প্রেসিডেন্ট এম এল দেবনাথ। সেই দাবি বাস্তবায়নের পর্যায়ে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর সুবিধা ব্যবহার করে পণ্য আনার সুযোগ ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বিরাট সাফল্য। এই অঞ্চল এখন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে যুক্ত হবে সমগ্র ভারতের সাথে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন এই সুবিধা বিরাট অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে চেম্বার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরাসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনে যে বিকল্প পথের সূচনা তাতে পণ্য এসে পৌঁছতে সময় কম লাগবে, ব্যয় কমবে। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জিনিসপত্রের মূল্যে। তাতে এ অঞ্চলের আর্থিক বিকাশ ঘটবে বলে আশা করেন এম এল দেবনাথ।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ চৌধুরী বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য দু ‘য়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ট্রানজিট এবং ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু হতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের বাড়তি আয় করার সুযোগ তৈরি হবে। আর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক গতিকে যদি এগিয়ে নেয়া, বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে এই ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করি।