বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
কয়েকদিন আগে পাকিস্তান থেকে সীমা নামে এক নারী সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন ভারতে। তিনি দাবি করেন, পাবজি খেলতে খেলতে তিনি সচিন নামে এক ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়ে গেছেন। পরে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন ভারতে। প্রথমে কয়েকদিন তাকে বেশ সমাদর করা হয়।
যখন জানা যায়, সীমার এক ভাই ও এক চাচা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে রয়েছেন, তখন থেকেই সীমাকে নজরে রাখতে শুরু করে প্রশাসন। এক পর্যায়ে সীমা, তার নতুন স্বামী এবং শ্বশুরকে স্থানীয় থানায় নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখান থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও পুরোপুরি সন্দেহমুক্ত হতে পারেনি সীমা। ভবিষ্যতে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জানিয়েছে গোয়েন্দারা।
তবে পাকিস্তানিরা অঞ্জুকে নিয়ে বেজায় খুশি। বিশেষ করে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করায় তাকে উপহারের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের এক ব্যবসায়ী তার হাতে জমি ও ফ্ল্যাটও তুলে দিয়েছেন। পাকিস্তানের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক মহসিন খান আব্বাসি বলেন, অঞ্জু আমাদের ধর্মে এসেছেন। আমি তার বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।
আর এতেই ধন্ধে পড়ে গেছে অঞ্জুর আগের ঠিকানা ভারতের মধ্যপ্রদেশের সরকার। তারা বলছে, মনে হচ্ছে এই প্রেমের গল্পের পেছনে কোনো সাজানো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, পাকিস্তানে যেভাবে অঞ্জুকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে, বিরাট বিরাট সব উপহার দেওয়া হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে এটি বড় কোনো পরিকল্পনর অংশ। এটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
পাকিস্তান যেমন সীমা ইস্যুতে একেবারেই নিরবতা পালন করছে, অঞ্জুকে নিয়েও সন্দেহবাতিকতা প্রকাশ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা থেকে বিরত রয়েছে। সেখানে একেবারেই উল্টো অবস্থান নিয়েছে ভারত। ভারতে আসা সীমাকে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত থেকে যাওয়া অঞ্জু বিষয়টিকেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছে। সব মিলিয়ে শাখের করাতে অবস্থান ভারতের।