বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: পণ্যভর্তি হিমায়িত (রেফ্রিজারেটেড) কন্টেইনার অধিক সংখ্যক নিয়ে আসায় তার্কি পতাকাবাহী একটি জাহাজকে শাস্তি হিসেবে দু’দিন বহির্নোঙরে অতিরিক্ত অবস্থান করতে হচ্ছে।
জাহাজটির নাম এমসিসি মান্দালয়। পোর্ট কেলাং থেকে জাহাজটি ১২১৩ টিইউস কন্টেইনার নিয়ে বহির্নোঙরে পৌঁছেছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। জাহাজটিতে ১২০ টি রেফার কন্টেইনার এবং ২২০টি কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেইনার রয়েছে।
জানা যায়, রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনার। কমলা, আপেল, আঙুর, মাছ, রসুন-পিয়াজ, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন পচনশীল পণ্য আমদানি হয় এ ধরনের কন্টেইনারে। জাহাজ থেকে খালাসের পর কন্টেইনারগুলো সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগে রাখতে হয়। এর জন্য বন্দরের পর্যাপ্ত প্লাগ পয়েন্ট নেই। তাই অলিখিত নির্দেশনা রয়েছে যাতে কোন জাহাজ ১০০ এর বেশি রেফার কন্টেইনার আনা না হয়। এমসিসি মান্দালয় এর অধিক নিয়ে আসায় বৃহস্পতিবার বন্দরের বার্থিং সভায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে দণ্ড হিসেবে জাহাজটিকে দু’দিন দেরিতে বার্থ দেয়া হবে। সিরিয়াল অনুসারে ৫ মার্চ মান্দালয়ের বার্থ পাওয়ার কথা।
শিপিং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন এ প্রসঙ্গে অভিমত দেন যে বন্দরের এরকম সিদ্ধান্ত নিরুৎসাহিত করবে ট্রেডকে। তাছাড়া, লোডিং পোর্ট থেকে এভাবে শিপমেন্ট করাও সম্ভব নয়। কারণ সেখানে ৪৮ ঘণ্টা আগেই শিপমেন্ট কিভাবে হবে অর্থাৎ কোন ধরনের পণ্যবোঝাই কন্টেইনার আগে বা পরে এবং জাহাজের কোনখানে রাখা হবে সেই প্ল্যান চুড়ান্ত করা হয়। জাহাজের ডেকের ওপর থাকে রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনারের প্ল্যাগ পয়েন্ট। সেখানে থাকে কন্টেইনারগুলো। জাহাজ থেকে এগুলো খালাস করে তারপর খোলা যায় হ্যাচ কভার। নতুবা তা খোলা যায় না এবং অন্য সব কন্টেইনার আটকে থাকে। সাধারণত প্রত্যেক জাহাজে ৮০ থেকে ১০০, এমন কি কোন কোন জাহাজে দেড় শ’ পর্যন্ত থাকে রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনার।