বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : প্রচণ্ড পেটের ব্যথা নিয়ে কালীগঞ্জ শহরের হাসনা ক্লিনিকে গৃহবধূ রহিমা বেগম (৩৮) ভর্তির পর প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডাক্তাররা বলেন, রোগীর পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচানো রয়েছে দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন। এরপর আর্থিক চুক্তি সম্পন্ন করে ১১ আগস্ট রাতে ক্লিনিকের ডা. আসলাম হোসেন ও ডা. প্রবীর কুমার বিশ্বাস রোগীর অপারেশন শুরু করেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষ না করেই ডাক্তারগণ তার কাটা পেট সেলাই করে বেডে পাঠিয়ে দেন। সেই থেকে ক্লিনিকের বেডে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন উপজেলার আনন্দবাগ গ্রামের রহিমা বেগম।
ভুক্তভোগীর স্বামী জহুরুল ইসলাম জানান, গত ৬ আগস্ট স্ত্রীকে হাসনা ক্লিনিকে ভর্তির পর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০ হাজার টাকায় চুক্তিতে অপারেশনের কথা বলে রোগীর পেট কাটার পর অপারেশন না করেই সেলাই দিয়ে বেডে স্থানান্তর করেন। ডাক্তারগণ বলছে, রোগীর নাড়িতে টিউমার রয়েছে। ওই অপারেশন করতে একসাথে ৬/৭ জন ডাক্তার লাগে। তাকে যে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করতে হবে। রোগী এখনো ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখন তার স্ত্রীর জীবন সংকটাপন্ন। তিনি এই অপচিকিৎসার জন্য ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের বিচার চান।
সংশ্লিষ্ট ডা. প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, রোগীর পেট কাটার পর নাড়িতে টিউমার দেখতে পান। কন্ডিশনও বেশ জটিল থাকায় তারা অপারেশন শেষ না করেই সেলাই দিয়ে বেডে পাঠান। ডাক্তার বলেন, এমন রোগীকে যে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করাতে হবে।
অপরদিকে পেট কাটার পর অপারেশন সম্পন্ন না করার বিষয়ে হাসনা ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি ডাক্তাররাই ভাল বলতে পারবেন। তবে, অর্থের লোভে অপারেশন করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, কেউ অপচিকিৎসার শিকার হলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।