নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: অতিরিক্ত গরমে নগরীর মানুষের কাছে মৌসুমি ফলের তালিকায় ছিল তরমুজ ও আনারস। গরমের ক্লান্তি দূর করতে তরমুজ আর আনারসের দাম ও ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে দুই দিন ধরে বাজারে তরমুজ ও আনারসের ক্রেতা নেই, অর্ধেক দামেও বেচা যাচ্ছে না বলে জানালেন বেপারিরা।
আগে যে তরমুজ ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই তরমুজ এখন ৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আনারস বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা প্রতিহালি। বর্তমানে ৯০টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে কলারও ।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস শেষ হওয়ায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে গরম কিছুটা কমে যাওয়ায় চাহিদা অনেক কমে গেছে। অতিরিক্ত দামে কিনে আনায় অবিক্রিত তরমুজ আনারস নিয়ে অনেকটাই বিপাকে বলে জানান। তাছাড়া বাজারে মৌসুমি ফল লিচু আম ওঠায় বিক্রি অনেক কমে গেছে। বাজারে ক্রেতা না পাওয়ায় খুচরা দোকানিরা এক প্রকার অলস সময় পার করছেন।
আগ্রাবাদের ফুটপাতে আনারস বিক্রি করে স্বপন বিশ্বাস। বিক্রি কেমন জানতে চাইলে তিনি বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, ক’দিন আগে প্রতি হালি আনারস ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন চাহিদা অনেক কমে গেছে। বর্তমানে প্রতি হালি আনারস ৯০-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পচে যাওয়ার আশঙ্কায় ভয়ে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক টাকা লোকসান গুণতে হবে।
তরমুজ বিক্রেতা আনোয়ার জানান, রোজার সময় তরমুজের ব্যবসা ভাল ছিল। ২৫০ টাকা থেকে উপরে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আকারভেদে। বিক্রিতে ভালো মুনাফাও হয়েছিল। কিন্তু গত দু’দিন ধরে বেচাকেনা বেশ মন্দা। ছোট তরমুজ ৭০ টাকা, মাঝারি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা ও বড় তরমুজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লিচু ও আম আসতে শুরু করায় তরমুজ বিক্রি অনেকটাই ভাটা।