তীব্র তাপদাহে সচেতন চলাফেরা করতে হবে: ডা. উজ্জ্বল বড়ুয়া
তাপস প্রান্ত
চট্টগ্রাম: তীব্র গরমে বিপর্যস্ত নগরজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। চট্টগ্রাম বিভাগেহ আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটির দীঘিনালায় ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা তাপদাহে পরিণত হয়। বিশেষ করে দিনের অসহ্য গরম সহ্য করে জীবিকার তাগিদে ঘরে বসে নেই খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কর্মঘণ্টা ব্যয় করেছেন তারা। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী রেজিষ্টার ডাঃ উজ্জ্বল বড়ুয়া বলেন, তীব্র তাপদাহে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। হালকা রঙের পোশাক পরা,বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা, শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করা,স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন। গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এর প্রভাবে দেশজুড়ে তীব্র গরম অনুভুতি হচ্ছে যা আগামী দুই-তিন স্থায়ী হবে।
ঘূর্নিঝড়টি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।