শিল্পায়নে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে শেয়ারবাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য হলেও চলতি বছরে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহে ধস নেমেছে। যা বিগত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। যাতে শেয়ারবাজারের আকার বৃদ্ধিতে নেতিবাচক ভূমিকা পড়েছে। একইসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ হাউজ, সাধারন বিনিয়োগকারী, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সরকার ক্ষতির কবলে পড়েছে। তবে এই ক্ষতির পেছনে কোম্পানিগুলোর দূর্বল আর্থিক হিসাব নিয়ে আইপিওতে আসতে চাওয়ার প্রবণতাকে দুষছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পর্ষদসহ অন্যান্যরা।
বিগত ১১ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সর্বনিম্ন অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছরে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ৬৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার পরিমাণ ২০১৮ সালেও ছিল ৬৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছরের ব্যবধানে শেয়ারবাজার থেকে অর্থসংগ্রহ কমেছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তবে এই ব্যবধানটা অনেক বড় হতে পারত, যদি রিং সাইন একাই ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন না করত।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু দেশের শেয়ারবাজার সেভাবে এগোচ্ছে না। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে শেয়ারবাজারের অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে বেশি বেশি করে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনতে হবে।
বিএসইসির আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপন একটি বড় বাধা। কিন্তু কোন ডায়নামিক উদ্যোক্তা শেয়ারবাজার থেকে ফান্ড সংগ্রহের জন্য ২ বছর অপেক্ষা করবে না। তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ দেওয়ার জন্য বসে রয়েছে। এমতাবস্থায় তারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনার জন্য এই সমস্যার বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তার প্রয়োজন।