আখাউড়া থেকে মো. মানিক মিয়া: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বাড়ছে । শনিবার সন্ধা পর্যন্ত একদিনে যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন ৭৯৫ জন। শুক্রবার ছিল ১৪৭৭ জন। যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। যাতায়াত সহজ হওয়ায় , ঈদ কেনাকাটা, ভ্রমণ, চিকিৎসা এবং ব্যবসায় উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জের যাত্রীরা এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত যাতায়াত করছেন। এদিকে যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পাওয়ায় ইমিগ্রেশনে চাপ বাড়ছে ।
ইমিগ্রেশনে কাউন্টার কম চালু থাকায় যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হচ্ছে ইমিগ্রেশনে। এতে যাত্রীরা ভারত ভ্রমণে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে । চট্টগ্রাম থেকে আসা ইলিয়াস চৌধরী নামের এক যাত্রী বলেন, সহপরিবারে ভারত যাচ্ছি ঈদ কেনাকাটায়। যাতায়াত সহজ হওয়ায় ভারত ভ্রমণে আমাদের প্রথম পছন্দ আখাউড়া স্থলবন্দর । চট্টগ্রাম থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো । বিশেষ করে ট্রেন যোগাযোগ । তাছাড়া এই বন্দর দিয়ে আগরতলা গেলে বিমানের ব্যবস্থাও আছে । ভারতের অন্য রাজ্য গুলোতেও সহজে যাওয়া যায় । ঈদ উপলক্ষে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় আগরতলা ইমিগ্রেশন পার করতে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে এবং অনেকেই সময়মত আগরতলা বিমান বন্দর না যেতে পারায় অগ্রীম টিকেট কেটে রাখা যাত্রা বাতিল হচ্ছে ।
খন্দকার হুমায়ূন নামের আরেক যাত্রী জানান, আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসির জন্য আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণ করা খুবই সহজ । চাইলে প্রয়োজনীয় কেনাকানা করে দিনে যেয়ে দিনে আসতে পারি । করোনা মহামারি স্বাবাভিক হওয়ায় দীর্ঘ দিনপর ভারত ভ্রমণ ভিসা চালু হয়েছে এবং ঈদকে সামনে রেখে এই বন্দর দিয়ে যাত্রী যাতায়াত অনেক বেড়ে গেছে এবং যাতায়াত সহজ হওয়ায় অন্য জেলার যাত্রীরাও এই বন্দর দিয়ে যাতায়াত করছেন ।
তিনি বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশনে কাউন্টার কম চালু থাকায় আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হচ্ছে ইমিগ্রেশনে। এতে আমরা যাত্রীরা ভারত ভ্রমণে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পরছি । সরকারকে অনুরোধ করবো এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, গত ৬ এপ্রিল বন্দর দিয়ে ভ্রমণভিসা চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে । শনিবার সন্ধা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ৭৯৫ জন যাত্রী পারাপার হয়েছে শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ১৪৭৭ জন।ঈদ সামনে রেখে এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ।