Home Second Lead আখাউড়া দিয়ে মাছ রপ্তানি বেড়েছে

আখাউড়া দিয়ে মাছ রপ্তানি বেড়েছে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

আখাউড়া: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। তবে এখন যে কয়টি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার মধ্যে মাছের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, রপ্তানির পরিমাণ কমে যাওয়ার পরও গড়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি টাকা মূল্যের অন্তত ৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর রপ্তানির পরিমাণ আরও কমে যায়। ভারতে দৈনিক মাত্র ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়। শুধু ভোজ্য তেল, সিমেন্ট, মাছ ও খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির মাধ্যমে কোনোরকম সচল থাকে আখাউড়া স্থলবন্দর। তবে মাস দেড়েক ধরে রপ্তানির পরিমাণ আশানুরূপ হারে বেড়েছে। এখন প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের অর্ধশত ট্রাক মাছ, রড, সিমেন্ট, কয়লা, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া বলেন, মাস দুয়েক ধরে মাছের চাহিদা বেড়েছে। এখন দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ টন বিভিন্ন প্রজাতির (ইলিশ ও চিংড়ি ব্যতিত) মাছ রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। আর প্রতি কেজি মাছের গড় মূল্য আড়াই ডলার।

স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর রড-সিমেন্ট আমদানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তিন মাসেরও বেশি সময় মাছ রপ্তানিও বন্ধ রাখেন। কিন্তু এখন রড-সিমেন্ট রপ্তানি হওয়ার পাশাপাশি মাছ রপ্তানির পরিমাণও আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এক-দেড় মাস আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে করে অন্তত ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। তবে মাস দুয়েক ধরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। যদিও ভোজ্য তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মাছ আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন । এতে করে স্বাভাবিক রূপে ফিরছে আখাউড়া স্থলবন্দর।

উল্লেখ্য,২০১০ সালের ১৩ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ১৯৯৫ সাল থেকেই আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্য ত্রিপুরা রাজ্য থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে যায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা মূল্যের রড, সিমেন্ট, পাথর, প্লাস্টিক, মাছ, তুলা, ভোজ্য তেল ও খাদ্যসামগ্রীসহ অর্ধশত পণ্য রপ্তানি হতে থাকে আগরতলায়। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ার পর থেকেই আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নামতে থাকে।