Home পরিবেশ আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ: ধেয়ে আসছে লাভা

আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ: ধেয়ে আসছে লাভা

কঙ্গো: ভয়ানক ঘটনার সাক্ষী থাকলো কঙ্গোবাসী। ২০০২ সালের পর আবার জেগে উঠলো কঙ্গোর নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরি। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কঙ্গোর গোমা শহরের বাসিন্দারা।

আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ফলে আকাশ লাল হয়ে গিয়েছে। লাভা রাস্তা বেয়ে শহরের দিকে যেন ধেয়ে আসছে। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে কাতারে কাতারে মানুষ। গোমা বিমানবন্দর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে লাভা।

গোটা গোমা শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিস্ফোরণের কারণে বাতাসে সালফারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিস্ফোরণ হলেও ভূমিকম্প হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে কত লোক মারা গেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কোনও আদেশ দেয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে, গোমাকে অন্য প্রদেশের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাগুলোতে লাভা পরে আছে।

এই আগ্নেয়গিরিটি শেষ ২০০২ সালে জেগে উঠেছিল। সেইসময়ে কয়েকশ নাগরিক মারা গিয়েছিল। এমনকি লাভা বিমানবন্দরের সমস্ত রানওয়েতে পৌঁছে গিয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন আগ্নেয়গিরি ফেটে যাওয়ার পরে এই শহরের তদারকি করছে। তারা জনিয়েছেন যে, বিমানের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে নজর রাখা হচ্ছে।

শান্তি রক্ষা মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মনে হচ্ছে না লাভা গোমা শহরের দিকে আসছে। তবে আমরা সমস্তরকম সতর্কতা অবলম্বন করছি। তবে আগ্নেয়গিরির লাভা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ এই শহর ত্যাগ করেছেন। লোকেরা খুব ভীত হয়ে পড়েছে।

এর আগে মার্চে আইসল্যান্ডের রেকাভিক আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়ঙ্করভাবে লাভা উদ্গিরন হতে থাকে। লাভা উদ্গিরনের স্থল ছিল ফাগ্রাদলস্ফল। এটি রেকানেস পেনিনসুলার একটি অঞ্চল যা, রাকধানি রেকাভিক থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।

-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক