ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বাড়ার কারণে গম আমদানি হয়েছে কম।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য জানিয়ে বলেন, যে গমের দাম টন প্রতি ২৩০-২৮০ ডলারের মধ্যে ছিল, তা বেড়ে এখন ৪৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গম আমদানি হয়েছিল ৪৮ লাখ টন, আর এ অর্থবছরে জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে মাত্র ১৬ লাখ টন। দাম বাড়ার কারণে গম আমদানি কম হচ্ছে। ফলে আটা, ময়দার দাম চালের চেয়ে বেশি, অথচ সবসময়ই আটার দাম চালের চেয়ে কম থাকে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধানের উৎপাদন বাড়াতে অতি উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের আবাদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশে এই আমন মৌসুমে নবান্নের সময়ও চালের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় চালের মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হলে দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এবছর আউশ, বোরো ও আমনের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। সরকারি মজুদও সর্বকালের সর্বোচ্চ, তারপরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এটি করতে হলে অতি উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে যাতে করে ১ বা ২ বছরের মধ্যে উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি করা যায়।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি জমি ক্রমশ কমছে। চালের উৎপাদন বাড়াতে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে এবং সুপার হাইব্রিডের চাষ বৃদ্ধি করতে হবে।