বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বীর চট্টলার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আবদুল্লাহ আল নোমান তার সহধর্মিনী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের নামাজে জানাজা বাদ আছর দলটির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমণ্ডি নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সকাল ৬টার দিকে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিএনপির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, মরহুমের নামাজে জানাজা বাদ আসর নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় সর্বস্তরের জনগণসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, আজ ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘নোমান ভাই আর নেই। বীর চট্টলার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, জননেতা জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান আজ ভোর ৬টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।মহান আল্লাহ প্রিয় নেতাকে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমীন।’
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি আবদুল্লাহ আল নোমানের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি প্রার্থনা করেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্যরা যে শোক পেয়েছেন আল্লাহ যেন তা সহ্য করার তওফিক দান করেন।
কর্নেল অলি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান আমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।