বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি স্থিমিত হতে বাড়ছে আমদানি। শিল্প-কারখানার মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে প্রচুর। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এ যাবতকালের সর্বোচ্চ আমদানি হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে । পরিমাণ ৬৯৯ দশমিক ৬০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
গত বৃহস্পতিবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে এসেছে ৪৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে। এই রিজার্ভ গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এই রিজার্ভ দিয়ে ৭ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। অথচ দুই-আড়াই মাস আগেও দশ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর রিজার্ভ ছিল। রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণ আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে আকুর দেনা পরিশোধের পর ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে পৌঁছে। ওই মাসের শেষের দিকে তা আবার ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।
২৮ এপ্রিল রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তবে ৪ মে আকুর আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। এক মাসেরও কম সময়ে ১ জুন তা আবার ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। জুন শেষে সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।