আমন ধানের দাম কম হওয়ায় খরচ উঠছেনা বর্গাচাষী কৃষকদের। প্রতিবিঘা জমিতে বর্গাচাষীদের আমন ধানে লোকসান গুনতে হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। আমন কৃষকদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। নওগাঁর পোরশায় কৃষকরা এবং বর্গা চাষিরা দোকান থেকে বাঁকিতে কিনেছিলেন সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে আসায় শুরু হয়েছে হালখাতার মৌসুম। বাড়িতে আসতে শুরু করেছে হালখাতার কার্ড। তাই বাধ্য হয়ে লোকসানে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা। গত বছরও অনেক লোকসানে ধান বিক্রি করেছিলেন এখানকার কৃষকরা। লোকসান গুনতে গুনতে তারা এখন শেষ হয়ে গেছেন। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটের মধ্যে পড়ে দিশাহারা অবস্থায় কৃষক। এবছর বাম্পার ফলনের পরেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। সরকার প্রতিমণ আমন ধান ১০৪০টাকা কেনার ঘোষণা দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬শ টাকা থেকে ৬৩০টাকায়।
যারা অন্যের জমি বর্গা (আধি) হিসাবে চাষাবাদ করেন, এদামে ধান বিক্রি করে তাদের প্রতি বিঘা জমিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। উপজেলার সহড়ন্দ গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, তিনি অন্যের আড়াই বিঘা জমি বর্গা(আধি) করেন। তিনি তার আড়াই বিঘা জমিতে আমন আবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খরচ করেছেন ২১হাজার ২৫০টাকা। ধান পেয়েছেন ৪৭মণ। নিয়মানুযায়ী অর্ধেক ধান দিয়েছেন জমির মালিককে। তার অবশিষ্ট সাড়ে ২৩মণ ধান বিক্রি করেছেন ৬৩০টাকা দরে। পেয়েছেন ১৪হাজার ৮০৫টাকা। তার লোকসান হয়েছে ৬হাজার ৪৪৫টাকা।একই গ্রামের জাইদুর রহমান জানান, তিনি দেড় বিঘা বর্গা জমিতে ধান পেয়েছেন ২৬মণ। নিয়মানুযায়ী জমির মালিককে দিয়েছেন ১৩মণ। তার অবশিষ্ট ১৩মণ ধান বিক্রি করেছেন ৮হাজার ১৯০টাকায়। ঐ জমিতে তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খরচ করেছেন ১২হাজার ৭৫০টাকা। তার লোকসান হয়েছে ৪হাজার ৫৬০টাকা।