বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরে মানব শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করল আমেরিকার ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট ফাইজার।
সোমবার প্রথম একজনের শরীরে ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে ৩৬০ জনের উপর এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে ।
জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ভ্যাকসিনের ডিজাইন ও ট্রায়াল করছে ফাইজার। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ম্যানহাটানের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিন ও বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিনে এই ভ্যাকসিনের গবেষণা ও ট্রায়াল চলছে।
ফাইজারের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালবার্ট বোরলা বলেছেন, “খুব কম সময়ের মধ্যেই এই আরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট বানানো হয়েছে। মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন ভালভাবেই কাজ করবে আশা করছি। ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে, আরও বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা পর্যবেক্ষণ করা হবে।”
এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক উগার সাহিন। তিনি বলেছেন BNT162 আসলে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট। ল্যাবরেটরিতে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল। এবার মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সুস্থ ও পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের। এই পরীক্ষা সফল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সংক্রমণের ঝুঁকি যাঁদের সবচেয়ে বেশি তেমন মানুষজনের উপরে ট্রায়াল শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও যদি সফল হয়, তাহলেই ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি সাপেক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে সংক্রামিত রোগীদের উপরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হবে। বয়স্কদের শরীরেও এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে ফাইজার। ট্রায়ালের রেজাল্ট সন্তোষজনক হলে ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদেরও এই আরএনএ ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফাইজারের গবেষকরা।