বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আগেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন অ্যামাজন ডট কম ইনকর্পোরেটেডের কর্ণধার জেফ বেজোস। এবার মার্কিন সেনাবাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগনের দৌলতে রেকর্ড পরিমাণে বাড়ল তাঁর সম্পত্তি। গত মঙ্গলবার তাঁর মোট সম্পত্তির মূল্য হয়েছে ২১১০০ কোটি ডলার।
এদিন পেন্টাগন ঘোষণা করে তারা অ্যামাজনের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা মাইক্রোসফটের সঙ্গে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর চুক্তি বাতিল করছে। এর পরেই অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বাড়ে ৪.৭ শতাংশ। ফলে জেফ বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ৮৪০ কোটি ডলার।
এর আগে জানুয়ারিতে ব্লুমবার্গ র্যাঙ্কিং-এ জানা যায়, টেসলা ইনকর্পোরেটেডের কর্ণধার ইলোন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ২১০০০ কোটি ডলার। বছরের প্রথমদিকে কে বিশ্বে ধনীতম ব্যক্তি হবেন, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছিল ইলোন মাস্ক আর জেফ বেজোসের মধ্যে। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি থেকে এক নম্বর জায়গাটা পাকাপাকিভাবে বেজোসের দখলে চলে আসে। ওই সময় অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বাড়ে ২০ শতাংশ।
গত কয়েক মাসে কয়েকটি বৃহৎ প্রযুক্তি নির্ভর সংস্থার শেয়ারের দাম ব্যাপক বেড়েছে। তার ফলে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বেড়েছে ইলোন মাস্কের। এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৮০৮০ কোটি ডলার। ধনীতমদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্যের নির্মাতা বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৬৮৫০ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২০ সালেও অ্যামাজনের শেয়ারের দাম ব্যাপক বেড়েছিল। করোনা অতিমহামারীর প্রথম ওয়েভের সময় বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ২০৬৯০ কোটি ডলার। চলতি সপ্তাহে অ্যামাজনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বেজোস। ৫৭ বছর বয়সী ওই ধনকুবের ২৭ বছর ধরে অ্যামাজনের সিইও-র পদে ছিলেন। এখনও অ্যামাজনের ১১ শতাংশ শেয়ার আছে বেজোসের হাতে। কোম্পানির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যানের পদে আছেন তিনি।
পেন্টাগনের সঙ্গে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের চুক্তি হয় ২০১৯ সালে। তার মূল্য ছিল ১ হাজার কোটি ডলার। তার আগে বেশ কয়েকটি কোম্পানি পেন্টাগনের ওই অর্ডার পেতে চেষ্টা করে। সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় মাইক্রোসফট। জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কটের সম্পত্তি বেড়েছে ২৯০ কোটি ডলার। বিশ্বে ধনীতমদের তালিকায় তাঁর স্থান ১৫ নম্বরে।