বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
গোল্ডেন মনিরের ১৯২ কোটি টাকা ছাড়াও প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি।
এসবের সংশ্লিষ্টতায় কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সংস্থাটি।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গোল্ডেন মনিরের বাসায় গেল বছরের নভেম্বরে অভিযান চালায় র্যাব। মাদক ও অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় মনিরকে। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এর তথ্য পেয়ে জানুয়ারিতে অনুসন্ধানে নামে সিআইডি। তথ্য চাওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ১৮টি সংস্থার কাছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য এসে পৌঁছেছে সিআইডির কাছে।
সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যরিস্টার মাহবুবুর রহমান জানায়, মনিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গ্র্যান্ড জমজম টাওয়ার শপিংমল, ১১ নম্বর সেক্টরের ৯০ কাঠার ওপর প্রস্তাবিত আল সাফা টাওয়ার, অটো কার সিলেকশন, গাল্ফ অটো, মনির বিল্ডার্স ও স্বদেশ প্রপার্টিজ। এছাড়া, বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টে ৩৭টি প্লট, পূর্বাচলে একাধিক প্লট এবং উত্তরার নলভোগে ও নবাবগঞ্জে মনিরের জমির খোঁজও মিলেছে সিআইডির অনুসন্ধানে।
মনিরের সাথে সংশ্লিষ্টতায় ঢাকা উত্তর সিটির কাউন্সিলর মো. শফিকুল শফিক ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এছাড়া আরও ৮-১০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কথা বলতে রাজি হননি উক্ত কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে মনির ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩টি ব্যাংকের ১২৯ অ্যাকাউন্টে ১ হাজার ০২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মনিরের মালিকানাধীন ৬টি প্রতিষ্ঠানের জন্য এত বড় লেনদেন অস্বাভাবিক বলেও জানায় সিআইডি।
চলতি মাসেই মনির ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলার করবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।