বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করডোভা ক্যাথেড্রাল আর্জেন্টিনার প্রাচীনতম চার্চ। এটি অবস্থিত আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর করডোভায়। স্পেনের করডোভা শহরের নামানুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয়। আন্দিজ পর্বতমালা দেখতে যাওয়া পর্যটকরা সচরাচর এই শহরে ভ্রমণবিরতির জন্য ঢুঁ মেরে থাকেন। শহরের পুরনো দালানগুলোর বেশিরভাগই ষোল শতকের। শহরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট প্লাজা সান মার্টিন। এই প্লাজা সান মার্টিনেই অবস্থিত অসাধারণ সুন্দর করডোভা ক্যাথেড্রাল। এর স্থাপত্যশৈলীতে বারোক এবং নিও-ক্ল্যাসিকাল ঘরানার ছাপ পাওয়া যায়।
১৫৮০ সালে রোমান ক্যাথলিকরা এসে প্রথম এখানে চার্চ তৈরির কাজ শুরু করে। এ কাজে নিয়োগ দেওয়া হয় স্থানীয় আদিবাসী শিল্পী ও শ্রমিকদের। নির্মাণ চলাকালে ১৬৭৭ সালে চার্চটি ধসে পড়ে। পরে ১৭০৯ সালে চার্চটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত করা হয়। ১৭২৯ সালে ইতালিয়ান স্থাপত্যবিদ আন্দ্রে ব্ল্যাঙ্কি সম্মুখভাগের ডিজাইন করেন স্প্যানিশ বারোক ঘরানায়। অবশেষে ১৭৮৭ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়।
পরে নানা সময়ের স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ হয়েছে এখানে। যেমন ক্যাথেড্রালটির অভ্যন্তরের অলংকরণ আঠারো শতকের। পাশাপাশি রয়েছে বিশ শতকের আর্জেন্টাইন শিল্পী এমিলো কারাফার আঁকা অসাধারণ সব ফ্রেসকো এবং ম্যুরাল। আরও রয়েছে রুপার তৈরি প্রার্থনা বেদি এবং সোনায় মোড়ানো ধর্মীয় সংগ্রহকর্ম। ক্যাথেড্রালের নিচে ক্রিপ্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আর্জেন্টাইন নাগরিকের সমাধি আছে। আশপাশে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে যারা আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী ট্যাঙ্গো নাচ শিখিয়ে থাকে।