Home First Lead আলু এবার নেপাল ভুটান থেকেও আসবে

আলু এবার নেপাল ভুটান থেকেও আসবে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: আলু আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি। কারণ, নিকটবর্তী নেপাল ভুটান থেকে কম খরচে আমদানি করা যায় না। এবার তা সহজ করতে নেয়া হলো ব্যবস্থা। নতুন করে আলু আমদানির অনুমতি দেয়া হলো ৯টি শুল্ক স্টেশন দিয়ে।

বর্তমানে প্রধানত বেনাপোল ও ভোমরা শুল্কস্টেশন দিয়ে আলু আসে। ভারতের পাশাপাশি নেপাল এবং ভুটান থেকে যাতে আলু আমদানি করা যায় সে লক্ষ্যে নতুন করে অনুমতি দেয়া শুল্ক স্টেশনগুলো হলো : চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, কুড়িগ্রামের সোনাহাট, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর, শেরপুরের নাকুগাঁও, ময়মনসিংহের গোবরাকড়া ও কড়ুইতলী, সিলেটের তামাবিল, জকিগঞ্জ ও শেওলা। এসব স্টেশন দিয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানি করা যাবে।

দেশে আলুর সর্বোচ্চ বার্ষিক চাহিদা ৯০ লাখ টন।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টনের কাছাকাছি।  এই হিসাব কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।  সেই হিসেবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশে আলু উৎপাদন হয়েছে চাহিদার চেয়ে অন্তত প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি। ভারত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি হয়েছে দেড় লাখ টন। তারপরও দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্য অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাওয়া পণ্যগুলোর অন্যতম আলু। আর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, আলু উৎপাদনে কেজিপ্রতি খরচ পড়ে মাত্র ১০ টাকা ৫১ পয়সা। বাজারে দাম উৎপাদন খরচের তুলনায় কয়েকগুণ। উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্যের মধ্যে যে বিশাল ফারাক তা মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের পকেটে যাচ্ছে। কোল্ড স্টোরেজ মালিক ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তাদের বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে।

বাজার পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আলুর উৎপাদন খরচের অতিরিক্ত মূল্যের বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে। এক্ষেত্রে কোল্ড স্টোরেজ মালিক ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দরের এ পরিস্থিতি হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তাদের। আবার কেউ কেউ বলছেন, উৎপাদনের সরকারি তথ্য নিয়েও বড় ধরনের সংশয় রয়েছে। সঠিক তথ্য না থাকায় সার্বিকভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ছে, যা আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।

চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কয়েক বছর স্বল্প পরিসরে আলু রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।