বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আগুনে পুড়ে চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে নিহতদের স্বজনদের তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছতে না পারলে আদালত এ নিয়ে ১৩ জুলাই আদেশ দেবেন।
ইউনাইটেডের ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণসহ একাধিক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। আদালত এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
১৪ জুন রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ), ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। তাদের প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, উদাসিনতা, অবহেলা ও নামমাত্র অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার চিত্র উঠে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি ফের শুনানির জন্য আসে।
ভিডিও কনফারেন্সে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব ও সাহিদা পারভীন শিলা।
ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অমিত তালুকদার আদালতের বরাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্তপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেছে। যদি সমঝোতার মাধ্যমে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ ঠিক করতে পারে তাহলে ভালো। না হলে ১৩ জুলাই হাইকোর্ট এ বিষয়ে আদেশ দেবে। আর এ ঘটনায় যে ফৌজদারি মামলা হয়েছে সেটির তদন্ত দ্রুত শেষ করতে বলেছে আদালত।’
২৭ মে রাতেগুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনাভাইরাসের রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগে। আধাঘন্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও পাঁচজন রোগী মারা যান। এর মধ্যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। ইউনাইটেড হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল, নিহতদের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব ও শাহিদা সুলতানা শিলা ৩০ মে রিট আবেদনটি করেন ।