বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করল বিতর্কিত চিনা জাহাজ। এতদিন ধরে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে চিনের জাহাজকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে বিস্তর টালবাহানা চলছিল। আপত্তি করেছিল ভারত। কিন্তু তারপরেও চিনের জাহাজকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে কলম্বো। দ্বীপরাষ্ট্রে কীভাবে চিনা জাহাজকে ছাড়পত্র দেওয়া হল সে নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি চিনের শি জিনপিং সরকার।
১৬ আগস্ট শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে চিনের জাহাজ নোঙর করার অনুমতি পেয়েছে। এই জাহাজ গবেষণার কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলেই চিনের দাবি। উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন এই জাহাজ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং উপগ্রহ চিহ্নিত করতে পারে। এর নাম ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। ভারতের দাবি, চিন গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই এই জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠাচ্ছে । ভারত ও আমেরিকার উদ্বেগ প্রকাশের জেরে চিনা জাহাজে প্রবেশের বিষয়ে দোটানায় ছিল দ্বীপরাষ্ট্র। সে কারণে প্রথমে এই জাহাজকে ঢুকতে দিতে চায়নি কলম্বো। কিন্তু পরে নিজেদের মত বদলায় তারা।
চিনের হাম্বানটোটা বন্দরে চিনের গতিবিধি আগেও দেখা গেছে। চিন থেকেই বিপুল ঋণ নিয়ে আজ শ্রীলঙ্কার এমন ভরাডুবি হয়েছে। চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের এই সময়ে চিনের জাহাজের শ্রীলঙ্কার দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যটা কী, সে নিয়েই চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি।
কী উদ্দেশ্য চিনের? ভারত মনে করছে, শ্রীলঙ্কার ওই বন্দর ব্যবহার করেই ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে স্পেস ট্র্যাকিং এবং স্যাটেলাইট কন্ট্রোলের কাজ করবে জাহাজটি। চিনের ওই জাহাজ উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন। ব্যালিস্টিক মিসাইল ও স্যাটেলাইট ট্র্যাক করতে পারে। শ্রীলঙ্কার ওই বন্দরে জাহাজটি থাকলে তা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওর নজরদারি করতে পারবে বলেই দাবি। ওড়িশার উপকূলে প্রায়ই মিসাইল টেস্ট করে ভারত। সেইসব ক্ষেপণাস্ত্রের সেন্সর ট্র্যাক করতে পারবে চিন। ব্যালিস্টিক মিসাইল সেন্সরের মাধ্যমেও দেশের জল সীমান্ত রক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা নৌ-বাহিনীর জাহাজে থাকা ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলির ক্ষমতা কতটা তাও বুঝতে পারবে চিন। যদিও চিনের দাবি, মহাকাশ গবেষণার জন্যই এই জাহাজটিকে কাজে লাগানো হবে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত থাকে, তার জন্য় প্রয়োজন হলে যথাযথ পদক্ষেপও করা হবে।