চট্টগ্রাম: ক্যাম্পাসে নিয়মিত ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানি ও সহিংসতা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা দেয়া এবং অংশগ্রহণকারীদের এ বিষয়ে সচেতন করে তোলার মাধ্যমে তা সমাধানের লক্ষ্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি আয়োজন করেছে এক আলোচনা সভার ।
যৌন হয়রানি অভিযোগ কমিটির উদ্যোগে আজ ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অ্যাওয়ারনেস সেশন’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ঘাসফুলের চেয়ারম্যান ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ দিনদিন বাড়ছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী শারীরিক বা মানসিকভাবে যৌন সহিংসতায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নারীর পরবর্তী জীবনকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পোস্ট ট্রমাটিক ডিজঅর্ডার, ড্রিপেশন, অ্যাংজাইটি, হতাশাসহ নানারকম মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে তারা। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমাজের সকল পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।
এ সময় তিনি যৌন সহিংসতার নানা ধরন, তা প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইনী সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে আলোচনা করেন।
ইডিইউ যৌন হয়রানি অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক অনন্যা নন্দীর সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইডিইউ উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
তিনি বলেন, সুশিক্ষার সাথে লেখাপড়ার সুষ্ঠু ও নির্মল পরিবেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। যৌন হয়রানি, সন্ত্রাস ও সহিংসতা বাংলাদেশের নারী অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায়। কিন্তু দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল অর্জনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত অত্যন্ত জরুরি। ইডিইউ বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং ক্যাম্পাসে নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। কিন্তু দেশের সামগ্রিক চিত্র এখনো খুব বেশি আশাব্যাঞ্জক নয়। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
উপস্থিত ছিলেন ইডিইউ যৌন হয়রানি অভিযোগ কমিটির সদস্য যথাক্রমে সিনিয়র অ্যাসিস্টেস্ট রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমদ সিগমা, অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার (একাউন্টস এন্ড এডমিন) রাকিব মোহাম্মদ ওমর গণি, জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর পিয়াল প্রমুখ।