বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গদি বাঁচবে কিনা, তা জানতে আর মাত্র কয়েকঘণ্টা বাকি। এর মধ্যেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নওয়াজ শরিফ কন্যা মরিয়াম । প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর কন্যার কথায়, ”অটল বিহারী বাজপেয়ী মাত্র একটি ভোটের জন্য আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু, ইমরান খান একজন মানসিক রোগী।’’
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেত্রী মারিয়াম নওয়াজ এদিন উর্দুতে টুইট করেন। তিনি বলেন, ”ভারতের বহু প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমখি হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও প্রধানমন্ত্রীই সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করেননি। গণতন্ত্র কিংবা আদর্শ ভাঙেননি।” তিনি আরও বলেন, ”এখনও পর্যন্ত ভারতের ২৭ জন প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী মাত্র একটি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু, দেশকে লাটে তুলে দেননি।”
এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়াম নওয়াজ বলেন, ”ইমরান খান আর সজ্ঞানে নেই। তাঁর উপর কোনওভাবেই আর দেশ চালানোর ভার দেওয়া যায় না। একটা দেশের দায়িত্ব সামলানো কোনও ইয়ার্কি নয়। তাঁকে মানসিক রোগী হিসেবেই ধরা যেতে পারে। বর্তমানে তিনি নিজের গদি বাঁচাতে ব্যস্ত। গোটা দেশকে সেই চক্করে লাটে তুলে দিচ্ছেন। লজ্জার বিষয়।”
সাম্প্রতিক অতীতে ভারত সম্পর্কে প্রশংসাসুলভ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে ইমরান খানকে। যা নিয়ে এবার কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন মারিয়াম। তাঁর কথায়, ”যদি এতই ভারতের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তবে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে গিয়ে থাকতে শুরু করুক ইমরান খান।”
এর আগেও একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে নওয়াজ কন্যাকে। ISI প্রধানকে সরিয়ে দিলেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ইমরান খানের সরকার। এমনও মন্তব্য করেছিলেন নওয়াজ শরিফ কন্যা মারিয়াম নওয়াজ । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিস্ফোরক বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিরোধী দল মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেত্রী মারিয়াম বলেছিলেন, ‘ISI-এর প্রাক্তন প্রধান লেফটান্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদের সময়সীমা আরও বাড়াতে চেয়েছিলেন ইমরান। কারণ তিনি সরে গেলেই তাসের ঘরের মতো সরকার পড়ে যেত।’ ISI-এর হাতেই পাক সরকারের ভাগ্য ঝুলছে বলে নওয়াজ কন্যার এই ইঙ্গিতে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপর হামল হয় লন্ডনে। সূত্রের খবর, লন্ডনে নওয়াজ শরিফের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। সে সময় তিনি নিজের অফিসেই ছিলেন। ঘটনায় তাঁর দেহরক্ষী আহত হয়েছেন বলে খবর। যদিও দুষ্কৃতীরা সকলেই অধরা। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি। কিন্তু, পাকিস্তানের টালমাটাল পরিস্থিতি এবং নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে একাধিকবার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় এই হামলাকে মোটেই লঘু করে দেখতে রাজি নন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।