বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকবলেছেন, আমাদের খাদ্য ঘাটতি নেই। আলু, শাকসবজি ও ফলমূলসহ বিভিন্ন ফসল ও খাদ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। এ উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রফতানি করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্তগত এক বছরে কৃষিপণ্যের রফতানি অনেকগুণ বেড়েছে। এ নতুন ল্যাবগুলো থেকে সার্টিফিকেট দিলে সারা বিশ্বেই তা গ্রহণযোগ্য হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে রফতানি আরো বাড়বে।
গতকাল গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জহুরুল করিম, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বারির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (অব.) কাজী এম বদরুদ্দোজা, বারির পরিচালক ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক ড. মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে কৃষিমন্ত্রী নতুন স্থাপিত উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান দুটি আধুনিক ল্যাব এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না। দ্রুত কৃষকের কাছে, মাঠে সম্প্রসারণ করতে হবে। কৃষকের হাতে উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি যেতে অনেক ক্ষেত্রে ৮-১০ বছর লেগে যাচ্ছে। এটা কোনো মতেই কাম্য নয়। উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের এই গ্যাপ কমাতে হবে।
ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন ঘাতসহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষক-বিজ্ঞানীদের আরো কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা বজায় রাখতে দেশে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গবেষক-বিজ্ঞানীদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। গবেষণায় বেশি সময়দান, নিজ কর্মস্থলে অবস্থান ও মানসম্পন্ন গবেষণাকর্ম করতে হবে। ৯টা-৫টা সময়ে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত থাকতে হবে।
