Home কৃষি নতুন জাতের বীজে গমের উৎপাদন বৃদ্ধি

নতুন জাতের বীজে গমের উৎপাদন বৃদ্ধি

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

দেশে উদ্ভাবিত নতুন জাতের বীজ ব্যবহার করে গমের উৎপাদন প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে। এবার গমের আবাদ ভালো হয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে চলতি মৌসুমে উৎপাদন ১৪ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। উদ্ভাবিত নতুন জাতের বীজ ব্যবহার করে গমের উৎপাদন প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে।

দেশে বছরে গমের চাহিদা ৭১ লাখ মেট্রিক টন। যার বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। গেল বছর দেশে গম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে ৩ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়ায় উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ লাখ মেট্রিক টনে।

মুজিব শতবর্ষ ঘিরে নতুন দুটি তাপসহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল গম বীজ উদ্ভাবনসহ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। চাষীরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া, সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ কম লাগায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের বীজে গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে তাদের।

চাষীরা জানান, বাংলাদেশ গম-ভুট্টা গবেষণা থেকে আমি একটি নতুন জাতের গম নিয়েছি। এবার মোটামুটি খুব ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে, অল্প সারে, অল্প সেচে গম গবেষণার বীজ নিয়ে আবাদে আমরা পারিবারিকভাবে লাভবান হচ্ছি।

কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রজনন বীজ উৎপাদনের জন্য জমি সংকটের কারণে চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করতে পারছেন না তারা।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন বলেন, বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনেক, সে অনুসারে আমরা বীজ সরবরাহ করতে পারছিনা। কারণ প্রজনন বীজ উৎপাদন করতে গেলে যে জায়গার প্রয়োজন তার ঘাটতি রয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছাতে, নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবনে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।