॥ মো. কায়েস উদ্দিন ॥
নওগাঁ : জেলায় উন্নত জাতের কুল চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন কৃষক আফতাব উদ্দিন পিন্টু। তিনি এখন এলাকার কৃষকদের কাছেও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই কুল বাগান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।
জেলার বদলগাছি উপজেলায় মিঠাপুর ইউনিয়নধীন মাজুড়া গ্রামের মো.আফতাব হোসেন পিন্টু তার নিজস্ব তিন বিঘা জমির সাথে সংলগ্ন আরও ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মোট ৮ বিঘা জমিতে কুল বাগান গড়ে তুলেছেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় এখন থেকে ৭ মাস পূর্বে তিনি ওই জমিতে উন্নত জাতের বলসুন্দরী, থাইকুল, আপেল কুল এবং কাশ্মিরী জতের মোট ১ হাজার ৯০০ টি গাছ রোপণ করেন। জমি তৈরী, চারা ক্রয়, রোপণ, পরিচর্যা এবং কুল উত্তোলণ পর্যন্ত তার মোট খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
এ বছর প্রথম মৌসুমেই তার বাগানের গাছে-গাছে এখন ব্যপক সংখ্যক কুল শোভা পাচ্ছে। আকারে যেমন বড় তেমনই খেতেও সুমিষ্ট হয়েছে। চাষি আফতাব হোসেন বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রত্যাশা করছেন তিনি প্রথম বছরই প্রায় ২০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। সেই হিসেবে প্রথম বছরই তিনি খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা লাভ করবেন যা অন্য কোন ফসল থেকে কখনও সম্ভব নয়। পরবর্তী বছরগুলোতে গাছ আরও পরিপক্ক হলে কুল উৎপাদন আরও বাড়বে। এতে আরও বেশী আর্থিক লাভ আসবে।
স্থানীয় পার্শ্ববর্তী আগ্রহী অনেক কৃষক পিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। এমন কি কৃষি বিভাগের সঙ্গে ওইসব আগ্রহী কৃষকরা যোগাযোগ করছেন পরামর্শ নিয়ে নিজেদের জমিতে বাগান সৃজন করতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুল ওয়াদুদ বলেছেন- অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নত জাতের কুল চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যার ফলে এ বছর জেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের কুল চাষ হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বদলগাছি উপজেলার মাজুড়া গ্রামের কৃষক আফতাব হোসেন পিন্টু একটি কুল বাগান গড়ে তুলে অত্যন্ত সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বলেন যারা এমন উন্নতজাতের কুল বাগান গড়ে তুলবেন কৃষি বিভাগ তাদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
– বাসস