বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ঋণ পরিশোধসহ ব্যবসা সম্প্রসারণে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৮ সালে ৮০ কোটি উত্তোলন করে আমান কটন ফাইব্রাস। অথচ এই কোম্পানিটি থেকেই সহযোগি কোম্পানিতে ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নোটিফিকেশন নং বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৩২/২/এডমিন/১০৩ অনুযায়ি প্রয়োজনীয় অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
এর আগে ২০১৮ সালে আমান কটনের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে ১০ কোটি ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে বলে প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা হয়। অথচ নিজেই এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সহযোগি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে।
এদিকে আমান কটন থেকে অগ্রিম হিসেবে ৭১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য অগ্রিম ৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রদান রয়েছে। যা গতবছরের আর্থিক হিসাবেও ছিল। কিন্তু এবছর ওই অগ্রিমের বিপরীতে কাঁচামাল ক্রয় হয়নি বলে নিরীক্ষক জানিয়েছেন।
কোম্পানিটির চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির নিরীক্ষিত রিপোর্ট অনুযায়ি, আইপিও ফান্ডের ৭১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অব্যবহৃত রয়েছে। যা ব্যবহারে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে শেয়ারহোলল্ডাররা।
আমান কটন আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে কাট-অফ প্রাইস ৪০ টাকা হিসেবে প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ টাকা করে ইস্যু করে। বর্তমানে এই শেয়ারটির দর রয়েছে ২৩ টাকায়।
২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আমান কটনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ২৭.৮০ শতাংশ।