- মধ্যরাতে ছাত্রাবাস থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: আবারও শিরোনামে এমসি কলেজ। এই কলেজের (নবনির্মিত ও ফাঁকা) ছাত্রীনিবাসে শুক্রবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় অভিযোগের তীর ছাত্রলীগের দিকে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়- শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন এক দম্পত্তি। কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী স্বামীকে মারধোর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে মহিলা ছাত্রী নিবাসে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর পিছু পিছু স্বামী সেখানে পৌছলে তাকে রশি দিয়ে বেধে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এক পর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই বধুকে ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালাক্রমে ধর্ষন করে।
সিলেট এমসি কলেজে ঐ গণধর্ষণের ঘটনার পর শুক্রবার মধ্যরাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পিস্তলসহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, অভিযানকালে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া শাহপরান থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) লিপটন পুরকায়স্থ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, যাদের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে।
জানা যায়, প্রথমদিকে ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আপোষে মীমাংসারও চেষ্টা চালান তারা।
পরে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বিফলে যায়। তবে দীর্ঘ সময়ক্ষেপনের কারণে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান দক্ষিণ সুরমা এলাকার এক যুবক। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা তাদের ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসেন। এই ছাত্রনেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন।
