Home পরিবেশ জীবন্ত কিংবদন্তি জাপানের ওটো মারা গেছে

জীবন্ত কিংবদন্তি জাপানের ওটো মারা গেছে

ওটো।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক সিংহী, জীবন্ত কিংবদন্তি ওটো মারা গেছে । গত ১১ মার্চ ২৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে ওটোর। সিংহের জীবনে ২৫ বছর মানে মানুষের জীবনের এক শতাব্দীর সমান। কাজেই তাকে শতায়ু বলা যেতে পারে। ১৯৯৯ সালে হোক্কাইডোর আশাহিয়ামা চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করেছিল ওটো।

২০০১ সাল থেকে আইচি প্রিফেকচারের তোয়োহাশি চিড়িয়াখানা ছিল তার আস্তানা। ওটোর মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।  শোক প্রকাশ তাদের ওয়েবসাইটে তারা বলেছে, ‘সারা দেশের সিংহপ্রেমীদের প্রিয় ছিল ওটো। অসংখ্য দর্শনার্থীকে আনন্দ দিয়েছে। ওর স্মৃতি থেকে যাবে চিরকাল। তার উপস্থিতি দিয়ে আমাদের ধন্য করার জন্য আমরা তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। প্রার্থনা করি সে যেন শান্তিতে ঘুমায়।’

শুধু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নয়, সাধারণ মানুষও ওটোর মৃত্যুতে ব্যথিত। তোয়োহাশি চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল পার্ক স্থানীয় মানুষদের কাছে বেশি পরিচিত ননহোই পার্ক নামে। সেখানে তারা ১১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ওটোর জন্য ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছে।

বন্য পরিবেশে সিংহরা গড়ে ১০ বছর বাঁচে। আর বন্দি অবস্থায় সিংহের গড় আয়ু ২০ বছর। কাজেই ২৫ বছর ৫ মাসের ওটোর বয়স নিয়ে চর্চা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ‘দ্য জাপান টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বয়স অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও তার কোনও অসুস্থতা ছিল না। গায়ের লোম ছিল চকচকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে সে খাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। বেড়ে গিয়েছিল ঘুম।

এর আগে, জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক সিংহের খেতাব ছিল নীল নামে একটি সিংহের ঝুলিতে। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি কিয়োটো সিটি চিড়িয়াখানায় তার মৃত্যু হয়েছিল। তারও বয়স হয়েছিল ২৫ বছরের বেশি। নীলের আগে লিও নামে আরও একটি পুরুষ সিংহের কাছে ছিল এই খেতাব। তার জন্মের সঠিক তারিখ অজানা থাকলেও মনে করা হয় মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ২৪ বছর ছয় মাস। ২০১৩ সালে জাপানের হোনশু দ্বীপের ইয়ামাগুচি প্রিফেকচারের টোকুয়ামা চিড়িয়াখানায় তার মৃত্যু হয়েছিল।