চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির হুমকি সিএন্ডএফ-এর
সেলিম খান, সাতক্ষীরা থেকে: ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছেন সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী নাজমুল আলম মিলন, আনসার আলীসহ কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় কাস্টম শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক প্রতি ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভারত থেকে আনা পণ্যের কস্টিং ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরা বন্দর ত্যাগ করছেন। ফলে, ভোমরা স্থলবন্দর থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
তারা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে স্থলবন্দরটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। এই চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে ৩০ জানুয়ারি তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩১ জানুয়ারি চার ঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবো আমরা।’
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মিজানুর রহমান, আমির হামজা, দীপঙ্কর ঘোষ, আমদানি-রপ্তানিকারকদের শাহানুর ইসলাম শাহীন ও রইসুল ইসলাম টুকু প্রমুখ!