মাহবুব পলাশ
কচুর জন্য মীরসরাই উপজেলা দীর্ঘ কয়েক দশক থেকেই বিখ্যাত। এ বছরও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কচুর ফলন হয়েছে ব্যাপক। শুধু কচু চাষ করেই উপজেলার শত শত চাষী লাখপতি হয়েছেন।
মঘাদিয়া গ্রামের কচু চাষী সাইফুল ইসলাম (৩২) জানান, তিনি গ্রামের কয়েক বিঘা জমিতে কচুর চাষ করেছেন। প্রতিটি জমিতে কচু চাষ ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো। বিক্রির পর ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। এতে ৪০ হাজার টাকা করে তিন জায়গায় ১ লাখ বিশ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার লক্ষ্য তার। প্রতি বছরই কমবেশি কচু চাষ করেন তিনি।
একই গ্রামে আরও প্রায় ২০ জন কৃষক কচু চাষ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া কচুয়া গ্রাম, হাইতকান্দি, মিঠানালা, কাটাছরা, দুর্গাপুর, ওচমানপুর, হিঙ্গুলীসহ পুরো উপজেলা কম-বেশি কয়েকশ লোক লাখপতি হয়েছেন এই কচু চাষ করে।
এই মৌসুমে সব চাষী ভাদ্র মাস অবধি ব্যস্ত থাকে কচু তোলা আর বিক্রি নিয়ে। কেউ কচু কাটা, কেউ পরিষ্কার করা, কেউ কচুর লতি তোলা, কেউ সারি সারি আঁটি তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় কচু চাষের গ্রামগুলোতে।
পরে সেখান থেকে সিএনজি বা ভ্যানে করে মহাসড়কের হাটে বিক্রির পর পাইকারদের ট্রাকে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ও যাচ্ছে এখন মীরসরাইয়্যা কচু বলে খ্যাত এই সবজি পণ্য।
মলিয়াইশ গ্রামের মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতিটি কচু পাইকারি ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারো ভালো ফলনে খুশি সবাই।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, মীরসরাইয়ের অনেক এলাকায় বর্ষাকালীন মৌসুমি কচু চাষের যথেষ্ট উপযোগী। সম্প্রতি নানান জাতের কচুর চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে দেশি কচুর পাশাপাশি আমরা লতিরাজ নামের একটি কচুতে কৃষকরা বেশি সুফল পাচ্ছে। এর আবাদ বৃদ্ধিতে আমরা ও সবাইকে সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত সবসময়।