আমেরিকায় প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কমলা হ্যারিস। ফোর্বস ম্যাগাজিনের সর্বশেষ সংখ্যার খবর অনুযায়ী, কমলা ও তাঁর স্বামী ডগলাস এমহফের যৌথ পোর্টফোলিওতে দেখা যাচ্ছে, লস এঞ্জেলিস ও ওয়াশিংটনে তাঁদের বাড়ি আছে। এছাড়া ১০ লক্ষ ডলারের দু’টি পেনশন প্রকল্প কিনেছেন তাঁরা। এমহফের রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে ১২ লক্ষ ডলারের। কমলার সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ লক্ষ ডলার।
কমলার জন্ম ওকল্যান্ডে। তাঁর মা ছিলেন ভারতীয়। বাবা ছিলেন জামাইকান। কমলার বোন মায়ার জন্মের পরেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের মা স্তন ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতেন। মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের পরে কমলা ও তাঁর বোন মায়ের সঙ্গে চলে আসেন মন্ট্রিয়েলে। তখন তাঁর বয়স ১২। পরে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য তিনি আমেরিকায় ফিরে যান। স্নাতক হওয়ার পরে আইন পড়তে যান ক্যালিফোর্নিয়ায়।
১৯৮৯ সালে আইনের ডিগ্রি লাভ করার পরে তিনি আলামেডা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে কাজ করতে থাকেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সানফ্রানসিস্কোয় জেলা অ্যাটর্নির অফিসে চাকরি পান। ওই সময় তিনি ৩ লক্ষ ডলার দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। গত মার্চে সেই ফ্ল্যাটটি তিনি ৮ লক্ষ ৬০ হাজার ডলারে বিক্রি করেছেন।
২০০৩ সালে তিনি প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান। ভোটে জিতে তিনি হন সানফ্রানসিস্কোর জেলা অ্যাটর্নি। তাঁর ট্যাক্স রিটার্ন অনুযায়ী, ২০০৪ সালে তিনি রোজগার করেছিলেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার ডলার। ২০১০ সালে তিনি ভোটে জিতে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। এর আগে কোনও কৃষ্ণাঙ্গ ওই পদ পাননি।
২০১৩ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে এমহফের পরিচয় হয়। এমহফ ছিলেন ডিভোর্সি ও দুই সন্তানের বাবা। লস এঞ্জেলিসের এক ল ফার্মে তিনি চাকরি করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর সঙ্গে কমলার বিবাহ হয়।
২০১৫ সালে কমলা সেনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন তাঁকে নিজের সম্পত্তির বিস্তারিত হিসাব দাখিল করতে হয়েছিল। তখনি দেখা গিয়েছিল, কমলা ও তাঁর স্বামীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ থেকে ৩৯ লক্ষ ডলারের মধ্যে।
ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে কমলার সম্পত্তির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর স্মৃতিকথা ‘দ্য ট্রুথস উই হোল্ড’। আমেরিকায় সেই বই বিক্রি হয় ২ লক্ষ কপি। এর ফলে বিপুল অর্থ আয় করেন কমলা।