Home Third Lead করোনার ক্র্যাকেন ভ্যারিয়ান্টে বিশ্বজুড়ে নয়া আতঙ্ক

করোনার ক্র্যাকেন ভ্যারিয়ান্টে বিশ্বজুড়ে নয়া আতঙ্ক

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ক্র্যাকেন বা করোনার এক্সবিবি.১.৫ প্রজাতি (COVID XBB.1.5) বিশ্বজুড়েই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, ওমিক্রনের বিএফ.৭-এর থেকেও বেশি সংক্রামক করোনার এই প্রজাতি। চিন্তার ব্যাপার হল, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও ক্র্যাকেনের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। ভারত, আমেরিকা সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ক্র্যাকেন ভ্যারিয়ান্ট রোগ ছড়াতে শুরু করেছে।

এনওয়াইসি-র হেলথ ও মেন্টাল হাইজিন বিভাগ জানাচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়া লোকজনই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মত, করোনার সমস্ত প্রজাতিদের মধ্যেই ক্র্যাকেনই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ এই প্রজাতি সবচেয়ে বেশি জটিল রোগ ছড়াতে পারে।

ভারতে ৮ জনের শরীরে ওমিক্রনের উপশাখা এক্সবিবি ১.৫-এর (COVID XBB.1.5) সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০২২ সালে করোনার এই উপপ্রজাতির প্রথম হদিস পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। এর পর থেকেই দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সূত্রে খবর, বর্তমানে আমেরিকা ছাড়াও আরও বিভিন্ন দেশে এই ভ্য়ারিয়ান্টের কারণে সংক্রমণ ঘটছে। আমেরিকায় ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর রিপোর্ট বলছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের ১ শতাংশ ছিল ক্র্যাকেন প্রজাতির কারণেই।

কী এই ক্র্যাকেন ভ্যারিয়ান্ট (COVID XBB.1.5)?

ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএ.৫ ও বিএ.৫.২.১৭ এর পরিবর্তিত রূপ হল ওমিক্রন বিএফ.৭। এই প্রজাতির সঙ্গে কোভিডের BA.5.2.1.7 প্রজাতির অনেক মিল রয়েছে। এর থেকেই অনুমান করা হয়েছে, কোভিডের ওই প্রজাতির মিউটেশন (Mutation) বা জিনের রাসায়নিক বদল (Genetic Change) হয়ে আরও এক নতুন প্রজাতির জন্ম হয়েছে।

ওমিক্রনের বাকি প্রজাতিগুলোর থেকে এটি ৪.৪ গুণ বেশি সংক্রামক। আর চিন্তার ব্যাপার হল, ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়্যান্টকে সহজে ভ্যাকসিন দিয়ে কাবু করা যাবে না। মানুষের শরীরে খুব দ্রুত ছড়াতে পারবে এই প্রজাতি এবং শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার প্রতিরোধ শক্তিকেও ভেঙে দিতে পারবে অল্পদিনের মধ্যেই।

এক্সবিবি.১.৫ (XBB.1.5) হল করোনার এক্সবিবি (XBB) ভ্যারিয়ান্টের জিনগতভাবে পরিবর্তিত রূপ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিএফ.৭ এর থেকেও বেশি সংক্রামক এই ভাইরাস। ৫৬ শতাংশ বেশি রোগ ছড়াতে পারে। বিএফ.৭ এর চেয়ে এর সংক্রমণের হার প্রায় ১২০ শতাংশ বেশি। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের শরীরে এর সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবডিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে, ফলে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমজোরি হয়ে যাবে।

ভাইরোলজিস্টদের মতে, সংক্রামক ভাইরাস যত বেশি মানুষের শরীরে ছড়াবে, ততই তার জেনেটিক সিকুয়েন্স বা জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।