বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: করোনার টিকা আমদানির ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলমান রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৫০ ভাগ অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে করোনার টিকা কেনার জন্য অর্থছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টিকা দেয়ার জন্য সুই-সিরিঞ্জ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সামগ্রী কেনার কাজও চলছে পুরোদমে।
জানা যায়, সেরাম ও বেক্সিমকোর চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে দেশে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে। ভারতের পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের কারখানা থেকে টিকা প্রথমে দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে। এরপর টিকা নেয়া হবে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউসে, সেখান থেকে জেলা পর্যায়ে সরকারের ওয়্যারহাউসগুলোতে টিকা সরবরাহ করা যাবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী এক বছরে তারা পুরো বিশ্বের জন্য তিন বিলিয়ন ডোজ টিকা তৈরি করবে। তারা এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ইতোমধ্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে। ভারত সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা উৎপাদন শুরু করলে বাংলাদেশও এই টিকা পাবে। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার মতো অক্সফোর্ডের টিকারও দুটো করে ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দুই ডোজের মাঝে তিন সপ্তাহের বিরতি থাকে। তবে অক্সফোর্ডের টিকার দুই ডোজ নিতে হবে চার সপ্তাহের ব্যবধানে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাসকেল সোরিয়ট বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর উইনিং ফর্মুলা আমরা পেয়ে গেছি। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের বেধে দেয়া মান বজায় রাখতে পেরেছি। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক প্রভাব অনেক বেশি হবে।