বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড: করোনা থেকে মুক্তির পথে নিউজিল্যান্ড। বহু মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যে ক’জন এখনও অসুস্থ আছেন, প্রত্যেকেই সুস্থ হওয়ার পথে।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পেরেছে সে দেশ। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই দেশে লকডাউন শিথিল করা হবে। সরকারি কাজকর্ম শুরু করা হবে। তবে সকলকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে এখনও যথেষ্ট সাবধান হয়ে চলতে হবে।
মার্চের শেষে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছয় করোনা সংক্রমণ। জেসিন্ডা বলেছেন, সে দেশে এই মহামারীর প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর প্রথম দিন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সব। বর্ডার সিল করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে চলে পরীক্ষা ও আইসোলেশন। তাই মৃতের সংখ্যা ১৯-এ থেমেছে।
লকডাউন সফল হওয়ার কারণেই এই সাফল্য বলে মনে করছে জেসিন্ডার নেতৃত্বাধীন সরকার। লকডাউনের সঙ্গে দেশে যথেষ্ট পরিমাণে টেস্টও করানো হয়েছে। সন্দেহভাজন সকলকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করার কারণেই এত দ্রুত সাফল্য মিলেছে। অন্যান্য অনেক দেশের মতো পরিস্থিতি তৈরিই হয়নি। মৃত্যুর হার অনেকখানি আয়ত্তে রাখা গেছে। আক্রান্ত ১৪২৭ জন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যা অনেক কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ডের অবস্থানও বেশ প্রান্তিক। বর্ডারগুলি খুব সহজে সিল করা যায়। এই বিষয়গুলোও সাহায্য করেছে এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে।
অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী পেটোসিস হ্যারিস বলছিলেন, নোভেল করোনাভাইরাসটি সংক্রামক হলেও কোন সুপার পাওয়ার যুক্ত নয়। তিনি আশাবাদী, মানবসভ্যতার কাছে এটি হার মানবেই। ধৈর্য ধরে একটু অপেক্ষা করতে হবে শুধু।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, লকডাউন তুলে নেওয়া মানে কিন্তু দেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ– এমনটা নয়। বিপদের আশঙ্কা এখনও আছে। শুধুমাত্র কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ অসুস্থ আছেন। নতুন করে কেউ সংক্রামিত হবেন না, এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে সাবধানতা অবলম্বন করে চললে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যাবে।