Home Second Lead করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার

করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

 

  সিভিয়ার অ্যাকিউন্ট রেসপিরেটারি সিনড্রোম রোখার মোক্ষম দাওয়াই নাকি আবিষ্কার হয়েছিল আগেই। এতদিন ছিল ট্রায়ালে। কিছু খামতির জন্য প্রাকাশ্যে আনতে চাননি গবেষকরা। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করলেন হংকংয়ের বিজ্ঞানীরা।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হংকং ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের গবেষক ইউয়েন কোক-ইয়াং বলেছেন, সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের সময় থেকেই এমন টিকা তৈরির কাজ চলছিল। নোভেল করোনাভাইরাসের মতো সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখবে এমন ওষুধ তৈরির কাজ এখনও গবেষণার অধীনে। তবে হংকং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের বানানো টিকা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাভাইরাসের প্রভাব নির্মূল করবে বলেই দাবি করা হচ্ছে।

গবেষক ইউয়েন কোকইয়াং

ইউয়েন কোক-ইয়াং বলেছেন, ‘‘আমরা এই ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলেছি। তবে এখনও অবধি পশুদের উপরেই এর পরীক্ষা হয়েছে। পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরেই মানুষের উপর প্রয়োগ করা হবে। তার জন্য আরও কিছু সময় দরকার।’’

করোনাভিরিডি (Coronaviridae) গোত্রের সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাস নোভেল করোনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করেছিল 2019-nCoV নামে। গবেষকরা এখন এই ভাইরাসকে ডাকছেন উহান করোনাভাইরাস (Wuhan coronavirus) নামে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ই ভাইরাসের সঙ্গে বিটা-করোনাভাইরাসের বিস্তর মিল। বিটা-করোনাভাইরাস ছড়ায় বাদুর থেকে। সার্স (SARS) এবং মিডল-ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-রিলেটেড করোনাভাইরাসের (MERS) সঙ্গে এর স্বভাবে কিছু মিল থকালেও জিনগতভাবে এরা অনেকটাই আলাদা। চিনের সিডিসি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব প্যাথোজেন বায়োলজি এবং উহান জিনিইনটান হাসপাতালের গবেষকরা নোভেল করোনার পাঁচটি জিনোম আলাদা করে পরীক্ষা করছেন। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে হংকংয়েও।

হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত এমন পশুর উপর এই টিকা প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। তবে মানুষের শরীরে এর প্রয়োগ করতে হবে সঠিক সময় ও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। তারই পরীক্ষা চলছে গত এক বছর ধরে।আগামী একমাসের মধ্যে এই টিকা বাজারে চলে আসবে বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

নোভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণ আরও জোরদার হয়ে বসছে চিনের মূল ভূখণ্ডে। মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের, যার অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের। আক্রান্ত ছ’হাজারেরও বেশি।

নোভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণ আরও জোরদার হয়ে বসছে চিনের মূল ভূখণ্ডে। মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের, যার অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের। আক্রান্ত ছ’হাজারেরও বেশি। চিন থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে হংকং, তাইল্যান্ড, জাপান, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, নেপাল ও অস্ট্রেলিয়াতেও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের সংক্রমণ গ্লোবাল হেলথ ক্রাইসিস বলে উল্লেখ করেছে। গোটা বিশ্ব জুড়েই এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার প্রতিষেধক তৈরির কাজে মেতেছেন বিজ্ঞানীরা। দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ারডনেস ইনোভেশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইউনিভার্সিটি অব কুইনসল্যান্ড এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যালার্জি করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক