বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়েছে। প্রাণহানিও থামছে না।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩৬ জনের। এ পর্যন্ত মোট প্রাণহাণির সংখ্যা ২০০৯। তবে চীন ছাড়া আর কোথাও নতুন করে মৃত্যু সংবাদ নেই। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৬৫ জন।
চীনসহ ২৯ দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৭৫,১৯৮ জন। চীনে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৭৪৯ জন। সেখানে মোট ৭৪,১৮৫ জন প্রাণঘাতি ঐ ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১২,০১৭ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
জাপান, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙাপুরে আরও আক্রান্ত হয়েছেন।
চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি বিপদ তৈরি করেছে জাপানের ইয়াকোহামায় নোঙর করা প্রমোদ তরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস। ভাসমান এ প্রমোদ তরীতে আরও যাত্রীর মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে। মোট ৫৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্ত ছিলেন ৪৫৪ জন।
পর্যটক ভর্তি ব্রিটিশ পতাকাবাহী প্রমোদ জাহাজটিতে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়ার পরপরই ইয়োকোহামায় নোঙর করা হয় ৪ ফেব্রুয়ারি ।
চেষ্টা চলছে থাকে কোনোভাবেই যেন অন্য যাত্রী বা ক্রু সংক্রমিত না হন। জাহাজটিতে ৫৬ টি দেশের ২,৬৬৬ জন যাত্রী । তখন থেকে তাদেরকে ডাঙায় নামতে দেয়া হচ্ছেনা। জাহাজের কেবিনে একরকম অবরুদ্ধ সময় কাটাতে হচ্ছে তাদেরকে। যাদের শরীরে যখনই করোনাভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে, সাথে সাথে তাদের তীরে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।প্রতি ঘণ্টায় নতুন করে চার থেকে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস ঢুকছে। প্রতিদিনই নতুন করে কয়েক ডজন যাত্রীর শরীরে এই ভাইরাস বাসা বাঁধছে।
মঙ্গলবার জাপানের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ডায়মন্ড প্রিন্সেসে নতুন করে ৮৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ঐ জাহাজে তাদের ৩৮০ জন নাগরিকের অধিকাংশকেই বিশেষ বিমানে নিয়ে গেছে।
ক্যানাডাও একটি বিমান ভাড়া করেছে। ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ২৫৬ জন কানাডার নাগরিক রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া একটি বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে তাদের চারজন নাগরিককে নিয়ে যেতে।
অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনও তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাবে।
সূত্র: ওয়ার্লডওমিটার