Home জাতীয় করোনার টিকা দিতে ৮৫ ডাক্তার-নার্সকে প্রশিক্ষণ

করোনার টিকা দিতে ৮৫ ডাক্তার-নার্সকে প্রশিক্ষণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৮৫ জন ডাক্তার ও নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদানের ওপর এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এই ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ডিএসসিসি।

প্রশিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৮৫ জন ডাক্তার ও নার্সকে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুজন প্রতিনিধি।

সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত চলমান এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ।

তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে ২০তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, করোনা ভ্যাকসিন দেশে চলে এসেছে। এখন চলছে এই টিকা প্রদানের ট্রেনিং। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। সঙ্গে সহযোগিতা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচটি হাসপাতালকে বাছাই করা হয়েছে। এগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল।

২৭ তারিখ থেকে টিকার উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কাজ চলবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য টিকা দেওয়ার পরে আধা ঘণ্টা পর্যন্ত টিকাগ্রহণকারীকে বসিয়ে রাখা হবে।পাঁচটি মেডিকেলে প্রথমদিকে চার থেকে পাঁচটি টিম কাজ করবে। পর্যায়ক্রমে ২০০টি টিমে উন্নীত করা হবে। প্রতি টিমে ৬ জন করে সদস্য থাকবে। তার মধ্যে দুজন ভ্যাক্সিনেটর এবং চার জন ভলান্টিয়ার থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রশিক্ষকরা গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তারাই আজ ট্রেনিং দিচ্ছেন।

এছাড়া প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকরা ভ্যাকসিনের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন। যেমন একজন রোগীকে দশমিক পাঁচ মিলিলিটার করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে, ভ্যাকসিনের একটি ভায়াল ১০ জন রোগীকে দেয়া যাবে। একটি ভায়ালে ভ্যাকসিন থাকবে পাঁচ মিলিলিটার করে। ভায়াল খোলার ছয় ঘণ্টা পরে আর সেই ভায়ালের ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে না।

প্রশিক্ষকরা এই বিষয়ে বলেন, ১৮ বছরের নিচে, গর্ভবতী ও দুগ্ধপ্রদানকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তি ও করোনা আক্রান্ত রোগীকে টিকা দেওয়া যাবে না। এসময় টিকার পরবর্তী বিরূপ ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

ভ্যাকসিন প্রদানের নিয়মাবলী ভালোভাবে প্রশিক্ষণার্থীদের বুঝিয়ে দিতে একটি ডামি করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেন প্রশিক্ষকরা।