বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনার নতুন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আগামী দিনে গোটা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। সোমবার কার্যত এই ভাষাতেই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
বি.১.৬১৭। এটাই করোনার সাম্প্রতিকতম (চতুর্থ) ভ্যারিয়েন্ট। গবেষকদের প্রাথমিক কাটাছেঁড়ায় এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। এর আগে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে কোভিডের তিনটি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছিল।
নতুন করোনাভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভারতীয় ধরনটিকে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল সোমবার (১০ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংস্থাটির কোভিড–১৯ বিষয়ক কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকভ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার ধরনটির দ্রুত সংক্রমণ বিস্তারের বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে। যদিও আগে মনে করা হয়নি যে করোনার এ ধরন সংক্রমণ এতটা ছড়াতে পারবে। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় এ ধরন বিশ্বজুড়ে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন বিপর্যস্ত ভারত। বিশ্বে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে। এ জন্য বি.১.৬১৭ কেই দায়ী করা হচ্ছে। ডব্লিউএইচও বলছে, বি.১.৬১৭ ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। তার আগে অক্টোবরে দেখা মিলেছিল তার আগের রূপটি।
গত বছরের অক্টোবরে ভারতে প্রথমবারের মতো করোনার বি.১.৬১৭ ধরনটি শনাক্ত হয়। করোনার এ ধরন অতি সংক্রামক। দ্রুত একজনের কাছ থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত এ ধরনের কারণে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো ভারত। সেখানে মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে।
প্রায় ২৪টি দেশে পৌঁছেছে এই ধরনটি। এর তিনটি ‘সাব টাইপ’র মধ্যে একটি বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের এই ধরনটির অতি সংক্রামক হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বলে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর কারিগরি কমিটির মারিয়া ভ্যান কেরকভ প্রধান বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বজুড়ে একে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় এ ধরন বিশ্বজুড়ে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’’