বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
নাটোর: কলার ফলন ও দামে খুশি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা চাষিরা। কলা চাষে শ্রম ও খরচ খুবই কম লাগে বলে অনেকেই ঝুঁকছেন কলা চাষে। জৈব সার ব্যবহার করে কলা চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারে এ কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কলা চাষী মো.সরোয়ার হোসেন বলেন, মাছের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলা চাষ করেছি। মাছে লাভ কম হলেও কলায় প্রচুর লাভ হয়েছে। একবার কলার গাছ লাগালে ৩ থেকে ৪ মৌসুম বিক্রি করা যায়। এবছর ২৩ বিঘার পকুর পাড়ে কলার চাষ করেছিলাম। খরচ বাদে শুধু কলাতেই ৪ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
কলা চাষী জাহিদ হোসেন বলেন, জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এবছর ১০ বিঘা জমিতে সাগর কলা, অমৃত সাগর, মেহর সাগরসহ বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করেছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০০ থেকে ৪০০ চারা রোপণ করা যায়। বছর খানেকের মধ্যেই রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়।
নাজিরপুর হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ছাড়াও নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রাম থেকেও প্রচুর পরিমানে কলা আসে এই হাটে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কলা লোড হয়ে দেশে নানা প্রান্তে যাচ্ছে। প্রতি কাইন কলা আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, গত বছর উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছিলো। এ বছর আরো ৫০ হেক্টর কলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।