২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কানাডায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬০ শতাংশ। গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, সে দেশে যাওয়া বিদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, সে দেশের মোট বিদেশি পড়ুয়ার অন্তত ৩৭ শতাংশই ভারতীয়।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যাওয়া প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় লাপাত্তা। তারা কোথায় সে তথ্য কানাডা সরকারের কোথাও নেই।
কানাডার ‘ইমিগ্রেশন নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ‘ইমিগ্রেশন, রিফিউজ়ি অ্যান্ড সিটিজ়েনশিপ কানাডা’ বা ‘আইআরসিসি’ জানিয়েছে ৩৫৯,৭৮১ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯,৫৮২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি! এই শিক্ষার্থীরা কোথায় আছেন তার কোনও রেকর্ড কানাডা সরকারের কাছে নেই।
২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কানাডায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬০ শতাংশ। গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, সে দেশে যাওয়া বিদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, সে দেশের মোট বিদেশি পড়ুয়ার অন্তত ৩৭ শতাংশই ভারতীয়।
২০২৫ সাল থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাস্টিন কানাডা সরকার। সেখানে এক সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে ভারতীয় ছাত্রদের নিয়ে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, কানাডায় আসার পর প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীর কোনও খোঁজ নাকি পায়নি সে দেশের সরকার। এই শিক্ষার্থীরা কোথায় আছেন তার কোনও রেকর্ড কানাডা সরকারের কাছে নেই।
কানাডায় বিদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের আগে থেকে পুরো টিউশন ফি জমা দিতে হয় না। এই নীতির কারণে পড়তে আসার নাম করে শিক্ষার্থীরা বড় বড় শহরে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কাজ করতে শুরু করেন। বেশ কিছু ছাত্র অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশের জন্য কানাডাকে প্রবেশদ্বার হিসাবে ব্যবহার করেন। ভিসা ছাড়া বেআইনি ভাবে ভারতীয়দের আমেরিকায় পাঠানোর কাজে জড়িত একাধিক চক্র।
কানাডা সীমান্ত হয়ে ভারতীয়দের অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করানোর চক্রের কথা অতীতেও বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। ইডির দাবি, এই চক্রের সঙ্গে কানাডার কিছু কলেজ এবং ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থা জড়িত।
যাঁরা অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে চাইতেন, তাঁদের আগে কানাডার কিছু কলেজে ভর্তি করানোর ‘ব্যবস্থা’ করা হত। তাঁদের জন্য করা হত কানাডার স্টুডেন্ট ভিসাও। কিন্তু কানাডায় পৌঁছনোর পর কলেজে ভর্তি করানোর বদলে কানাডা সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হত আমেরিকায়। এই চক্রে এক এক জন ভারতীয়ের থেকে ৫৫-৬০ লাখ টাকা করে নেওয়া হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।