Home Third Lead কাবুল বিমান বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত শতাধিক

কাবুল বিমান বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত শতাধিক

আইএসআইএস-এর দায় স্বীকার

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

কাবুল বিমান বন্দরে জঙ্গি হানায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৫। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন মার্কিন সেনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সঙ্গে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। পরে আফগান সাংবাদিকদের তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান বন্দরের বাইরে ছড়িয়ে আছে কয়েক ডজন দেহ। তালিবানের এক কর্তা জানিয়েছেন, ৭২ জন আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আফগান সেনা রয়েছেন ২৮ জন। শুক্রবার জানা যায়, দু’টি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আইসিস খোরাসান।

আমেরিকা ও তালিবান, উভয়েরই শত্রু আইসিস। এদিন তারা বিবৃতিতে বলেছে, তাদের আত্মঘাতী বোমারু আমেরিকান বাহিনীর সহযোগীদের ওপরে আক্রমণ চালিয়েছিল। মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকেনজি বলেন, আইসিস ফের হামলা করতে পারে। এবার তারা হয়তো রকেট ছুড়বে কিংবা গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটাবে।

জেনারেল ম্যাকেনজি বলেন, সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানতে পেরেছেন, ইতিমধ্যে আইসিসের হামলা চালানোর কয়েকটি উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়েছে তালিবান।

২০১৪ সালে আইসিস ইরাক ও সিরিয়ায় খেলাফত ঘোষণা করে। পাকিস্তানি তালিবানের একাংশ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আইসিস নেতা আবু বকর অল বাগদাদিকে নেতা বলে মেনে নেয় তারা। আফগানিস্তানের কুনার, নানগারহার এবং নুরিস্তান অঞ্চলে তারা বেশ শক্তিশালী। কাবুলেও তাদের স্লিপার সেল আছে। গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে জানা যায়, আইসিস জঙ্গির সংখ্যা ৫০০ থেকে কয়েক হাজার।

গত কয়েক বছরে বেশ কিছু মারাত্মক হামলা চালিয়েছে আইসিসের পাকিস্তান-আফগানিস্তান শাখা। তাতে দুই দেশেরই বহু নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছেন। গত বছর আইসিসের এক জঙ্গি কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলের হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। তার গুলিতে মেটারনিটি ওয়ার্ডে ১৬ জন প্রসূতি মারা যান।

বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “হামলাকারীদের খুঁজে বের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলব না। জেনে রাখুন, আমরা আপনাদের খুঁজে বের করবই এবং পাল্টা জবাব দেব।”

পরে তিনি বলেন, “আমাদের মিশন সম্পূর্ণ করব আমরা এবং আমাদের সেনা প্রত্যাহারের পরেও আমরা অভিযান চালিয়ে যাব। কোনও আমেরিকান আফগানিস্তান থেকে ফিরতে চাইলে তাঁকে খুঁজে বার করে ফিরিয়ে আনবই।”

হোয়াইট হাউসের কন্ট্রোল রুমে বসে প্রতি মুহূর্তের আপডেট নেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।