বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
এক গবেষণায় উঠে এল উদ্বেগের তথ্য। নতুন গবেষণা অনুসারে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা কার্ডিওজেনিক শকের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে৷
ইউরোপের সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির সায়েন্স কংগ্রেসের আলোচনা পর্বে উঠে এসেছে এই তথ্য।
সাধারণত মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ক্ষরিত হওয়ার জন্য হৃদযন্ত্র বাড়তি সুরক্ষা পায়। কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড হসপিটালের গবেষক ডঃ সারা ওলে জানিয়েছেন যে তাদের করা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে মহিলা এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের পর একইভাবে কার্ডিওজেনিক শক হয়েছে। তাই মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক কিংবা কার্ডিওজেনিক শক কম হয়, এমন ধারণা ভ্রান্ত। অন্তত এই গবেষণা এমনটাই বলে দাবি করেছেন ওই গবেষকরা।
কার্ডিওজেনিক শক কী?
এই রোগের একাধিক কারণ থাকতে পারে। মূলত ব্লকেজ কিংবা হৃদপেশীতে ফ্যাটিগ কিংবা হার্ট অ্যাটাক হলে এমনটা হয়। এক্ষেত্রে হৃদপিন্ড হঠাৎ করেই শরীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিতে রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়৷ ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীদের হৃদপিণ্ডের অনেকটা অংশকে প্রভাবিত করে কার্ডিওজেনিক শক তৈরি করে৷ এই শক ধীরে ধীরে গোটা হৃদপেশির কার্যক্ষমতাকে বন্ধ করে দেয়। ফলে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু ঘটে রোগীদের৷
এই গবেষণা ২০১০ থেকে ২০১৭ এর মধ্যে হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হওয়া ড্যানিশ রোগীদের ওপর করা হয়েছিল। রোগীর চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া এবং ৩০ দিনের মৃত্যুর তথ্য থেকে পরিসংখ্যান নেওয়া হয়েছিল। যেখানে দেখা যায় ১৭১৬ জন রোগীর মধ্যে ৪৩৮ জন অর্থাৎ ২৬ শতাংশ ছিলেন মহিলা। তবে উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ সেই সকল মহিলাদের অনেক বেশি ছিল।
তবে গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে কার্ডিয়াক শক হওয়ার পর পুরুষদের হৃদযন্ত্র আগে বিকল হয়েছে মহিলাদের অপেক্ষা। লেফট ভেন্ট্রিকুলার ইজেকশন রেট মহিলাদের বেশি ছিল। তাই হার্ট পাম্প ফাংশন কিছুটা হলেও বেশি মহিলাদের ক্ষেত্রে৷ তবে মহিলাদেরও যে এমন রোগ হতে পারে তা এবার নতুন করে জানা গিয়েছে গবেষণায়। যা নিয়ে আগাম সতর্কতাও তাই দিয়েছেন গবেষকরা।