বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া: কুমারখালীতে মাকে বেঁধে রেখে কলেজ ছাত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে গোলাম দস্তগীর তিতাশ (৪০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলায় কলেজছাত্রীর বাড়িতে এ মঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী তিতাশসহ কয়েকজন যুবককে নিয়ে বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা, দড়ি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে, তোর মেয়েকে তিতাশের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। না দিলে তোকে মেরে ফেলব, ‘ওদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওরা প্রথমেই আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আমি এ বিয়ে মানি না, থানায় মামলা করব, আমরা খুব ভয়ে আছি।’
ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা আমাদের বাড়ি থেকে চলে যায়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে ১০টার দিকে বাসায় ফিরি। সে সময় রোমান, লাহোরীসহ কয়েকজন আমাকে ডাক দেয়। বাইরে আসামাত্র মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এক রুমে আটকে রাখে। পরে জানতে পারি অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করার কথা।’
এ বিষয়ে জানতে রোমান ও লাহেরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাদের ফোনে কল দেওয়া হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত তিতাশকে তার ব্যবহৃত ফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনাটি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল, তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।