বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কুলাউড়া: উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ক্লিভডন চা-বাগানের ঝুনকি ঝালাই এলাকায় কাবিটা প্রকল্পের আওতায় একটি মাটির কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা তৈরি হলে দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন ওই অঞ্চলে বসবাসকারী সহস্রাধিক মানুষ।
রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লিভডন চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক শাহ কামরুল হাসান, মহসিন রেজা ইসতিয়াক ও এমদাদুল হক, ইউপি সদস্য ফজলুল আউয়াল, আজমল আলী, শংকর উরাং, মিলন বৈদ্য, সাবিত্রী রাজভর, যুবলীগ নেতা কাওছার আহমদ বুলবুল প্রমুখ।
জানা যায়, জয়চন্ডী ইউনিয়নের ক্লিভডন চা-বাগানের ঝুনকি ঝালাই এলাকায় নতুন টিলা বস্তিসহ আশপাশের লোকজনের চলাচলের কোন রাস্তা ছিলোনা। এতে তারা অনেক দুর্ভোগে ছিলেন। দীর্ঘদিনের দাবির পর অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রাস্তাটি পূর্ব দিকে গিয়ে সংযোগ হবে কাপনা পাহাড় চা-বাগানের রাস্তার সাথে এবং পশ্চিম দিকে গিয়ে সংযোগ হবে জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের পূর্ব বাহাদুরপুর এলাকার সাথে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ রাস্তাটি হওয়ার ফলে বাহাদুরপুর থেকে কাপনাপাহাড় পর্যন্ত ২-৩টি এলাকার সহ¯্রাধিক লোকজনের চলাচলের পথ সহজ হবে। পাশাপাশি ক্লিভডন চা-বাগানের শ্রমিকদের চলাচল এবং ওইদিকের সেকশনে মালামাল বহনে বেশ সুবিধা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ উরাং, শুসেন উরাং, শত্তম উরাং, বধুয়া উরাং, আদরমনি উরাং, ললিতা উরাংসহ অনেকেই জানান, চলাচলের কোন রাস্তা না থাকায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেশ দূর্ভোগে ছিলাম। এখন রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হওয়াতে আমরা বেশ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। অসুস্থ মানুষকে আর কাঁদে বহন করে নিতে হবে না। আমরাও এখন গাড়ি নিয়ে বাড়িতে আসতে পারবো। সাধারণ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাগান ব্যবস্থাপক এবং ওই ওয়ার্ডের মেম্বার শংকর উরাংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জয়চন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা ‘গ্রাম হবে শহর’, এটি বাস্তবায়ন করতে এবং মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচনের সময় এ অঞ্চলের মানুষকে রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রায় ১২ ফুট প্রসস্থ রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ কেটে যাবে এবং তাদের জীবনমানের উন্নতি হবে।