কলাপাড়া(পটুয়াখালী) থেকে মোহাম্মদ রুমী শরীফ:কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে আবারো ভেসে এসেছে ৭ ফুট ও ৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে দুটি মৃত ডলফিন। এসময় একটি রাজ কাকড়াও ভেসে আসে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সৈকতের গঙ্গামতির ঝাউবাগান ও ধোলাই মার্কেট পয়েন্টে ডলফিন দুটি ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা। এগুলো গভীর সাগরে জালে আটকে বা ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে মারা যেতে পারে বলে ধারণা জেলেদের। ডলফিন দু’টোকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে ।
স্থানীয়রা জানান, ডলফিন দু’টি পচন ধরেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওয়ার্ল্ডফিস ইকোফিস-২ পটুয়াখালী সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম।
৭ ফুট ও ৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে ডলফিন দুটি উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আমাদের ব্লুগার্ড সদস্যার মাটিচাপা দিয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ডলফিন সমুদ্রে অবাধে খেলা করতে। এখন তাদের বড় সমস্যা গভীর সমুদ্রে পাতা জেলেদের জাল। এ ডলফিন জালে জড়িয়ে মারা গেছে বলে তিনি ধারণা করেছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, সৈকতে যে ডলফিন দুটি ভেসে এসেছে তা ইরাবতি প্রজাতির।
আর কাকড়ার নাম রাজ কাকড়া। এর শরীরের কোথাও আঘাতের কোন চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি। মূলত প্রজনন মৌসুমে এসব কাকড়া তীরবর্তী এলাকায় আসে। এই কাকড়াকে জীবন্ত জীবাশ্মও বলা হয়। কারণ ৪৪ কোটি ৫০ লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে এদের অস্তিত্ব ছিল। ডাইনোসরের চেয়েও প্রায় ২০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল এই লিমুলাস। তাই এই জলজ প্রাণী বিজ্ঞানীদের কাছে আজও বিস্ময়ের।
ডলফিনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারেননি তিনি। এর আগেও কুয়াকাটা সৈকতে বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে।।