Home First Lead কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছেন মন্তী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে ভর্তুকিমূল্যে ২০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানিয়েছেন। বলেন, বোরো ধানসহ সকল ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে, সেজন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। ধান রোপন, কাটা, মাড়াই এবং শুকানোসহ সব কাজে যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আর সে লক্ষ্যে এবছর ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লানটারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে বিতরণ চলছে। একনেকে যে প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, সেটা অনুমোদনের পর আগামী বছরে আরো বেশি করে হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লানটারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে বিতরণ করা যাবে। এর মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে বলেও মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী  শুক্রবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

পঙ্গপালের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পঙ্গপাল আসার নজির নেই। এটি সাধারণত পাকিস্তান ও ভারতের রাজস্থান পর্যন্ত আসে। এদেশে আসার সম্ভাবনা কম। তবু বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কক্সবাজারে বিজ্ঞানীদের পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে পঙ্গপাল এসেছে এই ধারণা ঠিক নয়। তবে কী পোকা এসেছে এবং তা কতটুকু ক্ষতিকর সেটি দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। এবং তাঁদের মতামত নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।